
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের অদূরে মহারশি নদীর ডাকাবরে একটি সেতুর অভাবে ১৫ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি উঠেছে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। এই বিষয়ে বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু দীর্ঘ ৫২ বছরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
ডাকাবর গ্রামের নবী হোসেন দোকানদার, রব্বানী, সুলতান আহমেদ, জয়দর, সাইফুল ইসলাম, মোসলেম উদ্দিন, সোলাইমান, শহিদুল ইসলাম, মোতালেব হোসেনসহ গ্রামবাসীরা বলেন, নির্বাচনের সময় এলে এ নদীর উপর সেতু নির্মাণ করে দেয়ার নাম করে শুধু আমাদের কাছে ভোট নেয়। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর খোঁজখবর নেন না। নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জানা গেছে, ডাকাবর, রামেরকুড়া, নুনখোলা, শালচুড়া, ডেফলাই, নলকুড়া, গজারিকুড়া, ফাকরাবাদ, বনকালি, মরিয়মনগর, ভারুয়া, জারুলতলা, বাঐবাধা, কুশাইকুড়াসহ ১৫টি গ্রামের শতশত মানুষ প্রতিদিন এ পথে যাতায়াত করে থাকে।
কিন্তু এ নদীর উপর সেতু না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো ও বর্ষা মৌসুমে পাঁচ কিলো রাস্তা ঘুরে উপজেলা সদরে আসতে হয়। এ সময় স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিশু-কিশোররা স্কুল-কলেজে যাতায়াতের সময় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। গরু-ছাগল পারাপারে কৃষকদের হতে হয় নানা বিড়ম্বনার শিকার।
নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান বলেন, এ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি উঠেছে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই।এ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের বিষয়ে বিভিন্ন সময় উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আবেদন-নিবেদনও করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, এ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের বিষয়ে প্রকল্প প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে নির্মাণ করা হবে।
আফরোজা