
ছবি সংগৃহীত
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন একটি সড়কে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে কাজ বন্ধ করে স্থান ত্যাগ করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে দৌলতদিয়া জামাল মোল্লার মার্কেট থেকে হামিদ মৃর্ধার হাট লালচানের দোকান পর্যন্ত ১৪১৫ মিটার দীর্ঘ এই সড়কটি পুনর্বাসন ও পাকাকরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ‘মেসার্স লুপিং এন্টারপ্রাইজ’। তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, মূল ঠিকাদার আশরাফুল হাকিম কাজটি গোপনে বিক্রি করে দেন মো. হাসান নামে অপর একজন ঠিকাদারের কাছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, রাস্তার নির্মাণকাজে ইটভাটার রাবিশ ও নিম্নমানের দুই-তিন নম্বর ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি নির্ধারিত ৬ ইঞ্চির পাথরের স্তরের পরিবর্তে মাত্র ৫ ইঞ্চি খোয়া দেওয়া হচ্ছে। এতে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এলাকার বাসিন্দা বিল্লাল মৃর্ধা বলেন, “রাস্তার কাজে ব্যবহৃত উপকরণ সম্পূর্ণ নিম্নমানের। আমরা বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করেছি।”
অন্য একজন স্থানীয়, মানিক বেপারী, বলেন, “এই কাজ দেখে মনে হচ্ছে রাস্তাটা বর্ষায় টিকবে না। যদি এমনভাবে চলতে থাকে, তাহলে আমাদের চলাচলে অনেক ভোগান্তি হবে।”
সবচেয়ে বিস্ময়কর অভিযোগ এসেছে ঠিকাদার হাসানের ম্যানেজার কামরুল-এর বিরুদ্ধে। এক সাংবাদিককে তিনি বলেন, “আপনি গেছেন, সেই হিসেবে আপনার পারিশ্রমিক দিবো। এলাকাবাসীর দিকেও একটু খেয়াল রাখেন।” এতে প্রশ্ন উঠেছে, সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ রাখতে চেষ্টার পাশাপাশি কাজের মান নিয়েও গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা।
গোয়ালন্দ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ফয়সাল জাহাঙ্গীর স্বপ্নীল জানান, “নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। ইট ও খোয়ার নমুনা সিলগালা করে ল্যাব টেস্টে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত নিয়ম ও মান মেনে কাজ না হলে তারা আবারো কাজ বন্ধ করে দেবেন।
আশিক