
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের ক্রিকেটে যখন একের পর এক বিতর্কে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, তখন সর্বশেষ সংযোজন বিসিবির (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ প্রায় ১২০ কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন। তবে, পরবর্তী তদন্তে এই অঙ্ক আরও বড় বলে উঠে এসেছে—প্রায় ২৪০ কোটি টাকা নতুনভাবে ১৩টি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) আকারে রাখা হয়েছে।
একটি অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, তাদের হাতে থাকা বিসিবির এফডিআর স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিসিবি নতুন করে ১৩টি ব্যাংকে এফডিআর হিসাব খুলেছে, যেখানে বিভিন্ন সময়ে মোট প্রায় ২৪০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিসিবি সভাপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে, পূর্ববর্তী সরকারের সময় যেসব ব্যাংকে এফডিআর রাখা হয়েছিল—যেমন: আইএফআইসি ও মিডল্যান্ড ব্যাংক, সেগুলোর সুদের হার তুলনামূলক কম ছিল। উদাহরণস্বরূপ, আইএফআইসি ও মিডল্যান্ড ব্যাংকে রাখা প্রায় ১২ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার ছিল ১০ শতাংশ। এই অর্থ পরবর্তীতে মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করা হলে, তা সাড়ে ১১ শতাংশ হারে সুদে পরিণত হয়, ফলে বোর্ডের আয় বৃদ্ধি পায়।
স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, সরকারের 'লাল তালিকাভুক্ত' ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক—যেমন: জনতা, অগ্রণী ও বেসিক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ‘সবুজ’ ও ‘হলুদ’ তালিকাভুক্ত তুলনামূলক নিরাপদ ব্যাংক—যেমন: ব্র্যাক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ও প্রাইম ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে শুধু সুদের হার বৃদ্ধি পায়নি, বরং অর্থের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়েছে বলে দাবি বিসিবি সভাপতির।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ অভিযোগ করেছেন, “আগের কমিটির কর্তারা কম হারে ব্যাংকে টাকা রেখে আর্থিকভাবে উপকৃত হতেন। আমি এখন ৮% থেকে ১১.৫%–১২% হারে সুদ নিচ্ছি। কারো না কারো ৫০০ কোটি টাকার পকেট লস হতো, সেটাই আমি থামিয়েছি। ওরা এখন ইংরেজি করা শুরু করেছে।”
যদিও এ সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিক যুক্তি থাকলেও, বিসিবির অধিকাংশ পরিচালকদের না জানিয়ে এত বড় পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক জানান, “পতিত সরকারের সময় দায়িত্বে থাকা পরিচালকদের সহজে বিশ্বাস করতে পারেননি ফারুক আহমেদ, তাই এত বড় সিদ্ধান্ত একাই নিয়ে ফেলেছেন।”
সূত্র:https://youtu.be/ShhM9s4Gjf0?si=DP6oPwO860S895Ku
আঁখি