
বগুড়ায় দিনদুপুরে সংঘটিত একটি আলোচিত ছিনতাই মামলার মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
শহরের কলোনি বটতলা এবং সদর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় একটি ধারালো চাপাতি এবং ছিনতাইকৃত নগদ ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শাজাহানপুর উপজেলার লতিফপুর মধ্যপাড়া এলাকার আজিজ শেখের ছেলে আরিফ শেখ (৩২), চকফরিদ কলোনির আব্দুল খালেক বাদলের ছেলে তারিকুল ইসলাম তারেক (৩১), এবং গণ্ডগ্রামের খোরশেদ আলম বুদুর ছেলে মো. জাহিদ।
শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া ডিবির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ইকবাল বাহার। তিনি জানান, ২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বর বেলা পৌনে ১১টার দিকে বগুড়া শহরের চকফরিদ কলোনির ফাতেমা কর্টেজ এর সামনে যমুনা গ্যাস সিলিন্ডারের ম্যানেজার মো. তারেকের কাছ থেকে ৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়। ছিনতাইকারীরা তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরদিন ২২ ডিসেম্বর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নম্বর ৫৬/২২, ধারা ৩৯৪ দণ্ডবিধি)।
তদন্তে নেমে ডিবি প্রথমে মূল হোতা আরিফ শেখকে গ্রেপ্তার করে। তল্লাশি চালিয়ে তার প্যান্টের পেছনের অংশে বিশেষ কৌশলে লুকানো ১৫ ইঞ্চি লম্বা একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হয় এবং উদ্ধার হয় ছিনতাইকৃত টাকার অংশবিশেষ।
ডিবি ইনচার্জ ইকবাল বাহার আরও জানান, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এদিকে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। রাস্তাঘাটে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ায় আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, “এভাবে দিনেদুপুরে ছিনতাই হলে আমরা কোথায় নিরাপদ?”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ছিনতাই রোধে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ ছাড়াও প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহায়তায় যৌথ অভিযান জোরদার করা হচ্ছে।
সচেতন মহল বলছে, শুধু অভিযান নয় ছিনতাইয়ের মূল কারণ, চক্র ও তাদের অর্থনৈতিক উৎসের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে, তবেই নিরাপদ বগুড়া গড়া সম্ভব।
রাজু