ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

বর্ণাঢ্য আয়োজনে খুলনা দিবস উদ্যাপন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস

প্রকাশিত: ০০:২৭, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

বর্ণাঢ্য আয়োজনে খুলনা দিবস উদ্যাপন

খুলনা জেলার ১৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন ও সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে নগরীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মেজবানি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১৪৩ তম খুলনা দিবস উদযাপিত হয়েছে। প্রতিবারের মতো অনুষ্ঠানের আয়োজক বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন ও সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। দিনটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। পরে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন আমরা কে কোনো দল কিংবা মতের মানুষ এটা আলাদা বিষয়, কিন্তু আমরা খুলনার উন্নয়নে কাজ করতে চাই এক সঙ্গে।
উদ্বোধনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান। সংগঠনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন, বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার, রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান, প্রকৌশলী আজাদুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শেখ নুরুল হাসান রুবা, খুলনা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক, আয়কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খান মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শিবাবাড়ি মোড় থেকে বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তেঁতুলতলা মোড় ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় পালকি, ঘোড়ার গাড়ি, সাইকেলিং, আদিম মানুষ, জেলে, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড, ব্যান্ড পার্টি অংশ নেয়। এতে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও, শিক্ষার্থী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। খুলনা দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া দুপুরে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মিলনায়তনে মেজবানি ও বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, খুলনার প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে সকলকে কাজ করে করে যেতে হবে। এক সময় খুলনা শহর অনেক জাঁকজমক ছিল। কলকারখানা সচল ছিল। সন্ধ্যার পর শহর আলোয় ঝলমল করত। আবার খুলনাকে সেই জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। সকল দাবি আদায়ে খুলনার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হতে হবে। এ সময় সকলে এক সঙ্গে কাজ করারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 
উল্লেখ্য ১৮৪২ সালে খুলনা মহকুমা হওয়ার পর ১৮৮২ সালের এই দিনে খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও বশিরহাট মহাকুমার অংশ নিয়ে খুলনা জেলার যাত্রা হয়। খুলনার অতীত ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে অতীত ও বর্তমানের সমন্বয়ের মাধ্যমে আগামী খুলনার সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ২০০৯ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনটি খুলনা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে।

×