ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে পত্র প্রেরণ

সাবেক ১৪ বিচারকের সম্পদ বিবরণী তলব

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১৫, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

সাবেক ১৪ বিচারকের সম্পদ বিবরণী তলব

সাবেক ১৪ বিচারকের সম্পদ বিবরণী তলব

আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা ও ১৪ জন বিচারকের ব্যক্তিগত নথিসহ সম্পদের বিবরণী তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার সংশ্লি­ষ্টদের পার্সোনাল ফাইল, ডাটাশিট এবং সর্বশেষ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর অনুলিপি আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

যাদের নথিপত্র তলব ॥ দুদকের চলমান অনুসন্ধানে যাদের নথি তলব করা হয়েছে তারা হচ্ছেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব, কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান সরকার, সিলেটের সাবেক জেলা জজ মনির কামাল, ঢাকা মহানগর আদালতের সাবেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন, মাগুরার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মুশফিকুর ইসলাম, গাজীপুরের সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাইসারুল ইসলাম, নড়াইলের সাবেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোল্লা সাইফুল আলম, ময়মনসিংহের সাবেক বিশেষ জজ ফারহানা ফেরদৌস, শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সাবেক জজ কামরুন নাহার রুমি, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ গৌরাঙ্গ হোসেন, সিলেটের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ ও হবিগঞ্জের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাইফুল আলম চৌধুরী।
দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মূলত আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিম ও সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর ও তাদের পরিবারের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সূত্র ধরে তাদের নথিপত্র তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্ল­াহ আল মামুনের সমন্বয়ে টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আনিসুল হক। তার সময় থেকে ধীরে ধীরে কলুষিত হতে থাকে বিচার বিভাগ। আইন মন্ত্রণালয়, ঢাকা এবং এর আশপাশের আদালতে কর্মরত কিছু বিচারক মন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে উল্লে­খযোগ্য হচ্ছেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা, ঢাকার সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিম ও সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর। 
অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্যক্তি ঘুস গ্রহণ, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে তারা নিজ বা পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

×