ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জে সাত খুন

মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে শুক্রবার মানববন্ধন করে নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী

বহুল আলোচিত সাত খুন মামলায় উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিহতদের আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- নিহত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি, নজরুল ইসলামের বড় ভাই নূর মোহাম্মদ, ছোট ভাই আব্দুস সালাম, নিহত তাজুল ইসলামের বাবা আবুল খায়ের, ভাই রাজু আহমেদ ও নিহত গাড়িচালক জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নূপুরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। 
সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে যে সাতজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তা সারা পৃথিবীর মানুষ দেখেছে। সবাই চায় বিচারের রায় দ্রুত সম্পন্ন হবে। তিনি আরও বলেন, এখনো রায় কেন ঝুলে আছে? আমাদের দাবি আইন ও বিচার বিভাগের প্রতি ও আইন উপদেষ্টার প্রতি, এই সাতটি পরিবারের দিকে তাকিয়ে রায় দ্রুত কার্যকর করুন। আমাদের সাতটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই। সার্বিক সহযোগিতা করে তারা মামলাটা যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করে। আমরা যেন বিচার পাওয়ার সান্ত¦না নিয়ে মরতে পারি। 
নিহত নজরুল ইসলামের বড় ভাই নূর মোহাম্মদ বলেন, নিম্ন আদালতে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার রায় হয়ে গেছে। উচ্চ আদালতেও রায় হয়েছে। জানি না কোন শক্তির বলে ও কিভাবে দীর্ঘ ১১টি বছর এ রায়টি ঝুলে আছে? আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, নারায়ণগঞ্জের নৃশংস এ সাত খুনের বিচারের রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। 
নিহত তাজুল ইসলামের পিতা আবুল খায়ের বলেন, ১১টি বছর অপেক্ষা করতে করতে আজ আমরা ক্লান্ত। এখন প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং প্রধান বিচারপতির কাছে আমাদের আকুল আবেদন এ অপেক্ষার পালা থেকে রেহাই দিন। সাত খুনের যে রায় হয়েছে, তা দ্রুত কার্যকর করে আমাদের একটু সান্ত¡নার বাণী শোনান। 
আলোচিত সাত খুনের মামলাটি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি ৩৫ আসামির মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, অব্যাহতিপ্রাপ্ত র‌্যাব-১১ সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, কমান্ডার এমএম রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদ- ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। উচ্চ আদালতে আসামি পক্ষ আপিল করলে উচ্চ আদালত ২০১৮ সালে ২২ আগস্ট নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদ-ের আদেশ বহাল রাখেন ও ১১ জনকে যাবজ্জীবন এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।

×