
ছবি: সংগৃহীত।
সিরাজগঞ্জে মৃদু তাপ প্রবাহ চলছে। বাঘাবাড়ি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ও তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, শুক্রবার সিরাজগঞ্জের উপর মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গরমের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। পবিত্র মাহে রমজানে ইফতারে তরমুজের চাহিদা যতটা ছিল, রমজানের পরে এপ্রিল মাসে গরম বেড়ে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলা জুড়ে এই চাহিদা এখন দ্বিগুণ বেড়েছে। অনেকে শ্বশুর বাড়ি কিংবা আত্মীয় বাড়ি যাবার সময় মিষ্টির পরিবর্তে তরমুজ নিয়ে যাচ্ছেন।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের বাজার স্টেশন, শিয়ালকোল বাজার, কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর গড়াতেই বাজারে তরমুজ কিনতে ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। বাজারজুড়ে এখন তরমুজের বেচাকেনা জমজমাট। প্রতিটি বাজারের বেশ কিছু স্থানে বসেছে তরমুজ বিক্রির দোকান। তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুরের চলনবিলাঞ্চলের তরমুজ চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।
তরমুজ ভালো কিংবা মন্দ, এটা বাইরে থেকে দেখার সুযোগ নেই। তবে দাম ঠিক করে তরমুজ কেটে ভিতরের অবস্থা দেখে বিক্রি করছেন বিক্রেতা। মান ভেদে তরমুজ কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ভদ্রঘাট এলাকার তরমুজ বিক্রেতা মোঃ টুটুল বলেন, তীব্র গরমের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে তরমুজ বিক্রি। আগে যেখানে দিনে ২০-২৫টি তরমুজ বিক্রি হতো, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০-৩৫টি।
শিয়ালকোল বাজারের তরমুজ বিক্রেতা জহুরুল হক বলেন, তীব্র গরমে মানুষ আর কিছু কিনুক বা না কিনুক, ছোট কিংবা বড় একটা তরমুজ কিনে নিয়েই বাড়ি যাচ্ছেন। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
বাজার স্টেশনের তরমুজ বিক্রেতা মোঃ স্বপন বলেন, "এবার গরম শুরু হতেই চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। দাম কিছুটা বেশি হলেও মানুষ কিনছে নিয়মিত।"
এদিকে এক ক্রেতা জানান, "গরমে ঠান্ডা খাবারের বিকল্প নেই, আর তরমুজ হচ্ছে সবচেয়ে সহজলভ্য ও উপকারী ফল। শ্বশুর বাড়িতে মিষ্টির বদলে এবার তরমুজ নিয়ে যাচ্ছি।"
তরমুজের এ বাজার পরিস্থিতি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। বাজারে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুরের চলনবিলাঞ্চলের তরমুজ চাষিরা খুশি।
সায়মা ইসলাম