ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

দেশ রক্ষায় এক ধাক্কায় বন্ধ ভারতের ৩৩ টি পণ্য

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ২৫ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৩:১০, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

দেশ রক্ষায় এক ধাক্কায় বন্ধ ভারতের ৩৩ টি পণ্য

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি ভারত থেকে 33টি পণ্যের আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পের সুরক্ষা এবং বাজারে ভারসাম্য আনার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।

 

এই পণ্যের তালিকায় রয়েছে ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, তামাক, রেডিও যন্ত্রাংশ, টিভি যন্ত্রাংশ, সাইকেল যন্ত্রাংশ, মোটর যন্ত্রাংশ, ফর্মিকাশিট, সিরামিক সামগ্রী, স্যানিটারি সামগ্রী, স্টেইনলেস স্টিল সামগ্রী, মার্বেল স্ল্যাব, টাইলস, মিশ্র কাপড়, ছাপানো কাপড়, ডিনার সেট ও গ্লাসওয়্যার, কৃত্রিম রেশমি সুতা, সস্তা প্যাকেটজাত নুডুলস, সৌন্দর্য চর্চার প্লাস্টিক সামগ্রী, প্লাস্টিক চামচ, বাজারজাত প্লাস্টিক বালতি, অ্যালুমিনিয়াম পাথ, সস্তা ইলেকট্রিক সুইচ ও ফিটিংস, থার্মোকল, ইউপিএস বক্স, কমদাম ফার্নিচার, কাট বাজেট রেঞ্জ কিচেন সেট, এবং গৃহস্থালী প্লাস্টিক সামগ্রী।

 

 

এই নিষেধাজ্ঞা মূলত ভারতের সাথে বাংলাদেশের একতরফা বাণিজ্যিক সম্পর্কের অস্বস্তি এবং দেশীয় শিল্পের ক্ষতির কারণে নেওয়া হয়েছে। বিশেষত, এসব পণ্য ভারতের কম দামে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় শিল্পকে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ফেলছিল এবং অনেক সময় উৎপাদনও কমিয়ে দিতে বাধ্য করেছিল। 

সরকারের এই পদক্ষেপের পেছনে তিনটি মূল কারণ রয়েছে। প্রথমত, দেশীয় শিল্প সুরক্ষা এবং বাজারে স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করা। দ্বিতীয়ত, অপ্রয়োজনীয় আমদানির চাপ কমানো এবং তৃতীয়ত, শুল্ক ফাঁকি এবং অবৈধ রপ্তানির পথ বন্ধ করা। এসব পণ্য নির্বাচনে সরকার নিশ্চিত করেছে যে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষমতা ও ভোক্তা চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ঘাটতি সৃষ্টি হবে না। বরং, এটি স্থানীয় শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং বাজারে এক ন্যায্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করবে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান বাড়াতে সাহায্য করবে। 

 

 

বিশেষভাবে, এসব নিষিদ্ধ পণ্যের অধিকাংশই ভারত থেকে আসে, এবং তাদের অধিকাংশই কম দামে বাজারে পাওয়া যায়, যা দেশের ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন, এসব পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ফলে স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের মান উন্নয়নেও সহায়তা হবে। সরকার আশাবাদী যে, এটি দেশের শিল্পের সক্ষমতা বাড়াবে, নতুন প্রযুক্তি, ডিজাইন এবং উন্নত মানে পণ্য উৎপাদনে সহায়ক হবে। এছাড়া, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কৌশলকেও শক্তিশালী করবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও দৃঢ় করবে। 

 

 

অবশেষে, সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাস্টমস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে, যাতে কোনরকম অবৈধ প্রবাহ প্রবেশ করতে না পারে এবং এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদেশী বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও তার অবস্থান সুদৃঢ় করবে।

 

 

সূত্র:https://youtu.be/85QP00ZCvvQ?si=kKid9en_mVxFpFHT

আঁখি

×