
ছবি : সংগৃহীত
সাবেক কূটনৈতিক ও বিশ্লেষক নাসিম ফেরদৌসনাসিম ফেরদৌসী এক টকশোতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক কাতার সফর, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক ভূমিকা এবং দেশের নারী ক্রীড়ার অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
নাসিম ফেরদৌসী বলেন, "প্রফেসর ইউনূসকে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি হিসেবে বিশ্ববাসী চেনে। বরং অনেক বাংলাদেশিই তাকে চেনেন না। তার মতো একজন ব্যক্তির বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করাটা আমাদের জন্য গৌরবের।"
তিনি আরও বলেন, কাতার সফরটি মূলত একটি বিশেষ সম্মেলন উপলক্ষে হয়েছিল, যা ছিল ট্র্যাডিশনাল নলেজ এবং ইনোভেশনের সমন্বয়ে ভবিষ্যৎ পৃথিবী গড়ার এক উদ্যোগ। এটি কোনো দ্বিপাক্ষিক বা কূটনৈতিক সফর ছিল না, ফলে সেখানে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অর্জনের প্রশ্ন ওঠে না। তবে, প্রফেসর ইউনূস এই সম্মেলনে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এবং সেখানে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে তার বক্তব্য শুনতে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন বলেই তিনি মনে করেন।
নারী ক্রীড়ার বেহাল অবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমাদের দেশের মেয়েদের খেলার জন্য ক্লাব পর্যন্ত নেই। ফুটবল খেলে জয়ী হয়ে আসলেও তাদের উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো নেই। কাতার সফরের মাধ্যমে যদি এ বিষয়ে কিছু আনা যায়, তাহলে সেটা অবশ্যই একটি অর্জন হবে।"
তিনি আরও বলেন, সফরে এলএনজি (গ্যাস) চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা গেছে, যা দেশের চলমান গ্যাস সংকট মোকাবেলায় সহায়ক হবে। এ ছাড়া মুসলিম বিশ্বের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি ও অমুসলিম বিশ্বে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানো এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।
বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কাতারের পূর্ণ সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এটা একটি বড় পদক্ষেপ। এই সমর্থন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে দৃঢ় করতে সহায়ক হবে।" যদিও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সমালোচনা এখনো চলমান, তবে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি ইতিবাচক দিক।
শেষে তিনি বলেন, "এই সরকারকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দরকার নেই। প্রয়োজন এমন বন্ধু ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, যা তাদের কার্যকালকে কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে সাহায্য করবে।"
আঁখি