ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

সিলেটে তেল উত্তোলনের জন্য খনন হচ্ছে নতুন কূপ, ছাড়িয়ে গেছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত: ১১:৩০, ২৫ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১১:৩৫, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

সিলেটে তেল উত্তোলনের জন্য খনন হচ্ছে নতুন কূপ, ছাড়িয়ে গেছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের হরিপুর দেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ১৯৫৫ সালে আবিষ্কৃত হয়। সেই থেকে এটি দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গ্যাসক্ষেত্রটি পরিচালনা করছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি নিত্যনতুন কূপ খনন ও উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে।

 

সর্বশেষ হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে একই কূপে গ্যাসেরও অস্তিত্ব মেলার কারণে কর্তৃপক্ষ তেল উত্তোলনের জন্য নতুন একটি কূপ খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে "সিলেট এক্স" নামের নতুন কূপটির উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। ১০ নম্বর কূপ থেকে ভবিষ্যতে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস জানায়, সিলেট এক্স কূপের লক্ষ্য ছিল ৩৩৮০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত পৌঁছানো, যদিও কিছু ভূতাত্ত্বিক জটিলতার কারণে তা অর্জন সম্ভব হয়নি। তবে নতুন কূপে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

 

দেশের গ্যাস সংকট কাটাতে প্রতিষ্ঠানটি আরও কয়েকটি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডুপিটিলা-১ এবং কৈলাশটিলা-৯ নামের দুটি অনুসন্ধান কূপ, যেগুলোর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান। পাশাপাশি রশিদপুর-১১, রশিদপুর-১৩ এবং সিলেট-১১ নম্বর কূপের উন্নয়ন কাজও সমানতালে এগিয়ে চলছে।

এই সাতটি নতুন কূপের উন্নয়ন কাজ শেষ হলে দৈনিক প্রায় ৯০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানায় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস। এর মধ্যে প্রতিটি কূপ থেকেই ১০–২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

 

এছাড়াও, কৈলাশটিলা-১, বিয়ানীবাজার-২ এবং রশিদপুর-৩ ও ৭ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভারের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে আগামী বছরের মধ্যে এই চারটি কূপ থেকে অতিরিক্ত ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।

 

 

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, পাঁচ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে ৩.২ গুণ। বর্তমানে ১৫টি কূপ থেকে বার্ষিক ৩৭,৯১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। পাশাপাশি উৎপাদিত হচ্ছে ৩৮,৬৭২ ব্যারেল কন্ডেনসেট ও এনজিএল।

 

 

 

সূত্র:https://youtu.be/_bpLGlZYRy0?si=NQ3kotZdaegkiR9B

আঁখি

×