
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীবাহী ও বাণিজ্যিক গাড়ি উৎপাদনের যুগে প্রবেশ করেছে র্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ। গাজীপুরের কাশিমপুরের ভবানীপুরে অবস্থিত র্যানকন শিল্প পার্কে এই উৎপাদন কার্যক্রম চালু হয়েছে, যেখানে তৈরি হচ্ছে জাপানি ব্র্যান্ড মিতসুবিশি এবং মালয়েশিয়ান ব্র্যান্ড প্রোটনের নতুন মডেলের গাড়ি।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে কেবল গাড়ি সংযোজনই নয়, বরং কাঠামো রং, যন্ত্রাংশ সংযোজন এবং আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিংসহ পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে কারখানাটি আধুনিকীকরণে বিনিয়োগ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা।
র্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শিহাব আহমেদ জানিয়েছেন, বর্তমানে কারখানায় মিতসুবিশির এক্সপ্যান্ডার (৭ আসনের এমপিভি) এবং প্রোটনের এক্স-৭০ (৫ আসনের এসইউভি) ছাড়াও চীনের জ্যাক পিকআপ এবং মার্সিডিজ–বেঞ্জের বাণিজ্যিক বাস সংযোজন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমজি ব্র্যান্ডের গাড়ি সংযোজনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
কারখানার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো আন্তর্জাতিক মানের টেস্টট্র্যাক সুবিধা, যার মাধ্যমে প্রতিটি গাড়ির গতি, ব্রেকিং এবং সাসপেনশনসহ নানা প্রযুক্তিগত দিক পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা হলো ২ হাজার ইউনিট মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার, ৩০০ থেকে ৪০০ ইউনিট প্রোটন এক্স-৭০, ৬০০ ইউনিট বাণিজ্যিক ট্রাক এবং ৩৬০ ইউনিট মার্সিডিজ বাস। পুরো কারখানায় এখন পর্যন্ত কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৮০০ জন মানুষের।
র্যানকনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার এবং প্রোটন এক্স-৭০ মডেলের গাড়ির পরীক্ষামূলক উৎপাদন প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং আগামী জুন মাস থেকে এগুলোর বাণিজ্যিক বিক্রি শুরু হবে। প্রতিটি গাড়ির জন্য থাকবে পাঁচ বছরের গ্যারান্টি, যদিও এখনও দাম নির্ধারণ করা হয়নি।
র্যানকনের অটোমোটিভ বিপণনপ্রধান মো. ফাহিম হোসেন বলেন, “জাপানি মানের গাড়ি তৈরির সক্ষমতা এখন বাংলাদেশের রয়েছে। মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশন আমাদের কারখানাকে অনুমোদন দিয়েছে, যা দেশের জন্য একটি বড় মাইলফলক।” তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামে যেসব মডেল ব্যাপক জনপ্রিয়, সেগুলো বাংলাদেশেও ইতিবাচক সাড়া ফেলবে বলে তারা আশাবাদী।
আঁখি