
ছবি: সংগৃহীত
বরগুনার তালতলীতে নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নেয় নাঈম নামের এক যুবক। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো ধরনের সহযোগিতা না করেনি পুলিশ। অপহরণের দুই দিন পরে মামলা দিতে গেলে স্কুল ছাত্রীর মাকে লাঞ্ছিত করে থানা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উপ-পুলিশ পরির্দশক শাহ আলমের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পরে সেই ছাত্রীর মাকে ডেকে অপহরনের মামলা নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) গভীর রাতে ঐ ছাত্রীর মাকে ডেকে এনে মামলা এজাহার ভুক্ত করে ওসি। যার মামলা নং ১৬। এর আগে গতকাল রাতে তালতলী থানায় মামলা করতে গেলে স্কুল ছাত্রীর মাকে লাঞ্ছিত করে থানা থেকে বের করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকার বাবুল সরদারের ছেলে নাঈমসহ তার পারিবারের লোকজন একই এলাকার নবম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে গত ২২ এপ্রিল অপহরণ করে নেয়। পরে দুপুরেই স্কুল ছাত্রীর মা থানায় এসে মেয়ে উদ্ধারের জন্য একটি অভিযোগ দেয়। ভিকটিমকে উদ্ধারে গড়িমসি দেখালে মা বাদী হয়ে ২৩ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে মামলা দিতে থানায় আসেন। এ সময় থানার (এসআই) শাহ আলম স্কুল ছাত্রীর মাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে থানা থেকে বের করে দেন। পরে বাদীর পরিবার ফের ঐ এসআইয়ের কাছে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন? করেন। মামলা দিবেন আমার বিরুদ্ধে? দেন। এ নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হলে ঐ রাতেই স্কুল ছাত্রীর মাকে ডেকে এনে মামলা নেয় ওসি মো. শাহ জালাল।
স্কুল ছাত্রীর মা বলেন, আমি গতকাল রাতে থানায় গেলে মামলা না নিয়ে উল্টা আমার সাথে এসআই শাহ আলম আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে থানা থেকে বের করে দেয়। পরে আমি সাংবাদিক ভাইদের বললে তারা সত্যি নিউজ প্রকাশ করার পুলিশ আমাকে ডেকে নিয়ে মামলা গ্রহণ করেন।
তালতলী থানার ওসি মো. শাহজালাল বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আবীর