ছবি : সংগৃহীত
২৩ এপ্রিল-চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বসত ঘরের সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শফিউল আলম (৬৪) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার বিকালের দিকে উপজেলার ২নং ধলই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ তিতাগাজীর বাড়িতে ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে নিহত শফিউল আলমের পুত্র রবিউল আলম (১৫)। নিহত শফিউল আলম ওই বাড়ির মৃত সুলতান আহমদের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে শফিউল আলম তার সন্তান রবিউলকে নিয়ে নিজ ঘরের কাজ করছিলেন। একই বাড়ির মো.সেলিম ও তার পুত্র সজিব উদ্দিন হঠাৎ দেশীয় দারালো অস্ত্র (দা) দিয়ে শফিউল আলমসহ তার সন্তান রবিউলকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: সাবরিন কবির শফিউল আলমকে মৃত ঘোষণা করেন এবং রবিউল আলমের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
খবর পেয়ে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো.তারেক আজিজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে মডেল থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চমেক মর্গে প্রেরন করে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো.মহিন উদ্দিন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ওই ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যের দায়িত্ব পালন করে আসছি। কখনো উভয় পক্ষের কোনো রকম অভিযোগ পাইনি। হঠাৎ কিকারনে এমন নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলো বুঝে আসছে না। তারা সম্পর্কে আপন চাচাতো জেঠাতো ভাই। নিহতের পরিবার থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো.তারেক আজিজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। অপরাধী যেই হোক দ্রুত সমযের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আঁখি
