ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

বাউফলে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পৈশাচিক নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ০১:০০, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

বাউফলে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পৈশাচিক নির্যাতন

ছবি: সংগৃহীত

যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক পাষণ্ড স্বামী তার স্ত্রীকে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে পটুয়াখালীর বাউফলে এ ঘটনা ঘটেছে।

নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম লাকি আক্তার (২১), তাঁর বাবার নাম ফজলুল হক সিকদার। বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভারশালালা গ্রামে তাঁর বাড়ি। এ ঘটনায় লাকি আক্তারের মামা জহিরুল ইসলাম লাকি আক্তারের স্বামী জিয়াউর রহমানকে (২৫) আসামি করে বাউফল থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।

লাকি আক্তার অভিযোগ করেন, পারিবারিক পছন্দ অনুযায়ী তিন মাস আগে বাউফল সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামের মনসুর আলী সরদারের ছেলে জিয়াউর রহমানের সাথে তার বিয়ের হয়। বিয়ে সময় লাকির বাবা স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র প্রদান করেন।

বিয়ের দুই সপ্তাহ পর লাকির স্বামী জিয়া গার্মেন্টেসে চাকরি করার কথা বলে ঢাকা চলে যান। সেখানে মাসখানেক চাকরি করার পর আবার বাড়ি চলে আসেন। এরপর স্ত্রীর কাছে ব্যবসার নামে কখনো ২ লাখ, আবার কখনো ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

লাকি আক্তার টাকা দিকে অপরগতা প্রকাশ করলেই তাকে বেধড়ক মারধর করা হতো। রুমের ভিতরে আটকে রাখা হতো, খেতে দেওয়া হতো না।

ঘটনার দিন বুধবার সকালে জিয়া ব্যবসার জন্য স্ত্রী লাকির কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। লাকি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে শোবার রুমে আটকে রেখে দুপুর ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় মারধর করেন। এমনকি তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গা কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করেন।

একপর্যায়ে তাঁকে আটকে রাখেন স্বামী জিয়াউর। কৌশলে লাকি ঘর থেকে বের হয়ে অন্য ঘরে গিয়ে তাঁর ছোট মামা জহিরুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি ওই দিন রাতে সাড়ে ৮টার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে লাকিকে উদ্ধার করে বাউফল থানায় নিয়ে আসেন।

লাকির মামা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় লাকির স্বামী জিয়াউর রহমানকে আসামি করে একটি এজাহার দাখিল করেছি।’

বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কামরুজ্জামান বাচ্চু/রাকিব

×