
ছবি: জনকণ্ঠ
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে গুলি করে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তার নাম রবিউল ইসলাম রবি। এই রবি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি। তবে কে বা কারা তাকে গুলি করার পর ছুরিকাঘাত করেছে, তা জানা যায়নি।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী নগরের পঞ্চবটি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মদ রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রবিউল ইসলাম রবি আওয়ামী লীগের কর্মী। তার বাবার নাম আজিজুল ইসলাম। তাদের বাড়ি নগরের বিনোদপুর-মীর্জাপুর এলাকায়। রবির ভাই শহিদুল ইসলাম শহিদ রাজশাহী মহানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি।
ওসি আরও জানান, রাতে পঞ্চবটি এলাকায় রবিউলকে কুপিয়ে আহত করা হয়। তাকে গুলিও করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে। কয়েকজন হামলাকারী মোটরসাইকেলে এসে আবার মোটরসাইকেলেই চলে যায়।
ঘটনার পর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রবিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। এই খবর লেখা পর্যন্ত রবির অস্ত্রোপচার চলছিল।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, রবিউলের এক পায়ে গুলি করা হয়েছে। অন্য পা এবং দুই হাতে কোপানো হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, রবিউল ইসলামের নামে পাঁচটি মামলা আছে; যার মধ্যে রাবি শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলাও রয়েছে।
২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাবি ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর বাজারে ছাত্রশিবির, ছাত্রলীগ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারি নোমানী নিহত হন। এই মামলায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রবি।
এম.কে.