
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বানিয়াকাজী গ্রামের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে তার দাদার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম (৫৫) শিশুটির বাবার চাচা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুক্তাগাছা উপজেলার বানিয়াকাজী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আনোয়ার একই উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের বানিয়াকাজী গ্রামের এছাহাক আলীর পুত্র। সম্পর্কের দিক থেকে শিশুটির দাদা হওয়ায় তিনি প্রায়ই ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা পেশায় ভ্যানচালক। তিনি বৃদ্ধ মা-বাবা ও মাতৃহীন মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। ঘটনার দিন শিশুটি পড়াশোনায় বসে ছিল। এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে অভিযুক্ত আনোয়ার ঘরে প্রবেশ করে একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে বিদ্যুৎ ফিরে এলে তিনি সরে যান। শিশুর দাদী আনোয়ারকে পালিয়ে যেতে দেখেন। পরে শিশুটি তাকে পুরো ঘটনা জানায়।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আনোয়ার ও তার পরিবারের লোকজন শিশুর পরিবারকে চাপ দিতে থাকে এবং তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে শিশুটির দাদা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালে তারা বুধবার (২৩ এপ্রিল) শালিস আহ্বান করেন।
বুধবার সকালে শালিস বৈঠকে স্থানীয়রা বসে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ‘ইজ্জতের মূল্য’ নির্ধারণ করে। এতে শিশুর চাচা প্রতিবাদ জানালে শালিস বৈঠক পণ্ড হয়ে যায়।
এদিকে, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা জানান, বৈঠকে টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে না পেরে আনোয়ার ও তার পরিবারের লোকজন আমার বাসায় এসে হুমকি দিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, শালিসের বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিম ও তার পরিবারকে বিকেলে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নুসরাত