ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

দৃষ্টিনন্দন সেতুতে বাতি জ্বলে না দেড় বছর

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ২১:৪২, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

দৃষ্টিনন্দন সেতুতে বাতি জ্বলে না দেড় বছর

পর্যটন শহরের বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার-খুরুশকুল সেতু

পর্যটন শহরের বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার-খুরুশকুল সংযোগ সেতুতে উদ্বোধনের পর দিন থেকেই জ্বলে না কোনো বাতি। দেড় বছর ধরে অন্ধকারে যাচ্ছে সেতুটির ওপর দিয়ে যাতায়াতের ঝুঁকি। সন্ধ্যার পর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ব্যয়বহুল ও আধুনিক এ সেতুটি তখন ছিনতাইকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
স্থানীয়রা বলেন, সেতুটি খুরুশকুল ও শহরের বাসিন্দাদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত হলেও সন্ধ্যা নেমে রাত হলেই ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় সেখানে। সূর্য অস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয় এই সেতু এবং আশপাশের এলাকা। খুরুশকুল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বলেন, সেতুতে ওঠার পর থেকে ছিনতাইয়ের আতঙ্কে থাকতে হয় পথচারীদের। সন্ধ্যা হলেই পুরো সেতু ও সড়কটি অন্ধকার হয়ে যায়। বাতি জ্বলে না। এ নিয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নকারী সংস্থা এলজিইডি কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, আমরা বিদ্যুতের লাইনের জন্য আবেদন করেছি। লাইন পেলে বাকি কাজ করে দেব।

ওখানে চুরি, রাহাজানি বন্ধে আমাদের সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে। আমাদের সিকিউরিটি গার্ডদের কারণে অলরেডি এসব চুরি, রাহাজানির মতো কাজ বন্ধ হয়েছে। সচেতন মহলের দাবি, কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ৫ মিনিটের দূরত্বে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন এ সেতু। সেতু-সড়কের পাশেই বাঁকখালী নদী আর কয়েকটি জলাভূমি। এই সেতু নির্মিত হওয়ায় অর্থনীতিতে এক দারুণ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেতুটি শুধুমাত্র দুই পাড়ের সংযোগ ঘটায়নি, নতুন করে সংযোগ স্থাপন করেছে খুরুশকুলের অর্থনীতিতে।

×