ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণ, ৩ ধর্ষক গ্রেপ্তার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ও মোহনগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:০৩, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

প্রেমের ফাঁদে ফেলে  কিশোরীকে ধর্ষণ, ৩ ধর্ষক গ্রেপ্তার

হাওরে নিয়ে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ।  বুধবার ভোরে পাশ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নিজগাভী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে তোলা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকরা হচ্ছে, নিজগাভী গ্রামের শাহজাহান মেম্বারের ছেলে আজিজুল ইসলাম (১৮), দুলাল মিয়ার ছেলে রফিক (২৪) ও মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে সাকিব মিয়া (২৬)।  তারা প্রত্যেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

অভিযোগের বরাতে থানা পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর (১৭) বাড়ি মোহনগঞ্জ পৌরশহরের একটি গ্রামে। সে স্থানীয় মাদ্রাসায় কিছুদিন লেখাপড়া করে ছেড়ে দেয়।  কয়েকদিন আগে রাজমিস্ত্রি আজিজুলের সঙ্গে তার ইমুতে পরিচয় হয়। এরপর আজিজুল প্রেমের ফাঁদ পাতে। গত ১৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে আজিজুল তাকে বিয়ের কথা বলে মোহনগঞ্জ বাজারের পাশে অবস্থিত আলোকদিয়া সেতুর ওপর যেতে বলে।  প্রেমিকের কথামতো কিশোরী নির্দিষ্ট সময়ে সেতুর ওপর হাজির হলে আজিজুল ও রফিক তাকে একটি মোটরসাইকেলে তুলে ধর্মপাশা উপজেলার নিজগাভী গ্রামের সামনের হাওরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে আজিজুল ও রফিক তাকে ধর্ষণ করে। এরপর একই গ্রামের আরেক যুবক সাকিব এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় এবং সাকিবও তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় ধর্ষকরা একজন আরেকজনের ভিডিও দৃশ্য ধারণ করে রাখে। এভাবে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ধর্ষকরা কিশোরীকে তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। যাবার সময় শাসিয়ে বলে যায়, ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ করলে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেবে। ভয়ে ঘটনাটি চেপে রাখে কিশোরী। পরবতর্তীতে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে সে সবকিছু খুলে বলে। 

মঙ্গলবার রাতে কিশোরীর বড়ভাই এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ রাতেই অভিযানে নামে। বুধবার ভোরে প্রথমে আজিজুলকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আজিজুলের মাধ্যমে রফিক ও সাকিবকে মোবাইল ফোনে কৌশলে নির্দিষ্ট স্থানে ডেকে এনে গ্রেপ্তার করা হয়।  ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে প্রত্যেকে ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করার দায় স্বীকার করেছে। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। 

নুসরাত

×