
ছবি: জনকণ্ঠ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে এক ভারতীয় যুবককে। ওই ভারতীয় যুবকের নাম সুশান্ত নাথ। তার বয়স আনুমানিক ৩০।
তিনি ভারতের কলকাতার বাসিন্দা এবং সেখানকার একটি আবাসিক হোটেলে চাকরি করতেন। বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে না জেনেই ১৪ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করতে আসেন তিনি। সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া এলাকার (বাদামতল) পশ্চিম পাশে অরুণ বাবুর খোলা নামক বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিয়ের পিঁড়িতে বসা ওই তরুনী নাম শান্তা নাথ (১৪)। সে সন্দ্বীপ উপজেলার কাছিয়াপাড় এলাকার লক্ষণ চন্দ্র নাথের মেয়ে। সে বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তারা পরিবার নিয়ে দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া এলাকায় বসবাস করতেন। অন্যদিকে ভারতীয় নাগরিক সুশান্ত নাগরিক এক মাসের জন্য বাংলাদেশে ভ্রমণে এসেছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ভ্রাম্যমাণ অভিযান সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ বাঁশবাড়ীয়া (বাদামতল) অরুণ বাবুর খোলা নামক স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসময় নবম শ্রেণি পড়ুয়া শান্তা নাথ নামের এক তরুণীকে ভারতীয় নাগরিক এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয়। ওই ভারতীয় যুবক এক মাসের জন্য বাংলাদেশ বেড়াতে এসেছিলেন তার আত্মীয়ের বাড়িতে। তার পাসপোর্ট ও ভিসা দেখে তাকে ভারতীয় নাগরিক শনাক্ত করেন। এ বিয়ের ঘটনায় দীপালি নামে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।
তিনি ভারতীয় নাগরিক সুশান্ত নাথের (২৭) সাথে বাংলাদেশি নাগরিক শান্তা নাথের (১৪) বাল্যবিবাহ সম্পন্নের আয়োজন ও তত্ত্বাবধানের অপরাধে অভিযুক্ত দীপালি বালা নাথকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরবর্তীতে ১৮ বছরের আগে যেন বিবাহের আয়োজন না করে সে বিষয়ে কন্যার মা-বাবাসহ অভিযুক্তকে সতর্ক করা হয়। মোবাইল কোর্ট অভিযানে সহযোগিতা করেন সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ।
ফারুক