ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর ধর্ষণ মামলা, ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করে পুলিশ হেফাজতে দিলো পরীক্ষা

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা। 

প্রকাশিত: ০০:০৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০০:০৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর ধর্ষণ মামলা, ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করে পুলিশ হেফাজতে দিলো পরীক্ষা

ছবিঃ সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া এক এসএসসি শিক্ষার্থী পুলিশ হেফাজতে থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) পুলিশ তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং পুলিশ হেফাজতে থেকে ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষা দেয় সে। এর আগে সোমবার গণিত পরীক্ষা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বুজরুকগড়গড়ি মাদ্রাসাপাড়ার প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে ওঠে সে। রাতে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ওই রাতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করে ওই তরুণী।

মঙ্গলবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর ওই পরীক্ষার্থীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। পরে তার বড় ভাইয়ের জিম্মায় দেওয়া হয় তাকে। বিষয়টি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 


পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুক গড়গড়ি মাদ্রাসা পাড়ার নয়ন আলীর ছেলে নাঈম হোসেন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে দামুড়হুদা উপজেলা এলাকার এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে। ওই স্কুলছাত্রী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। সোমবার ওই পরীক্ষার্থী জানতে পারে নাঈম হোসেনের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। সে গণিত পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে নাঈম হোসেনের বাড়িতে আসে এবং বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়।

একপর্যায়ে উৎসুক জনতা ওই ছাত্রীকে ঘরের ভেতরে তুলে দেয়। পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা করলেও ওই শিক্ষার্থী বাড়ি যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা আসেন এবং দুপক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়। শেষমেশ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই তরুণী বাদী হয়ে নাঈম হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই তরুণী জানায়, গত তিন বছর ধরে তার সঙ্গে নাঈমের প্রেমের সম্পর্ক।

শারীরিক সম্পর্কও করেছে সে। এখন সে অন্য মেয়েকে বিয়ে করছে, এটা মানা যায় না। 
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদুর রহমান জানান, সোমবার রাতে ওই তরুণী ধর্ষণ মামলা করেছে। মঙ্গলবার পুলিশ পিকআপ যোগে তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নেওয়া হয় এবং পুলিশ হেফাজতে থেকেই সে ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষা দেয়। এরপর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরে তার বড় ভাইয়ের জিম্মায় তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকেই নাঈম পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

রিফাত

আরো পড়ুন  

×