
ছবি: জনকণ্ঠ
নোয়াখালীর হাতিয়ায় গরুর হাটে ব্যাপারীদের আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ২৫ বছর পুরনো ইজারাকৃত বাজারের কাছে বিকল্প হাট বসিয়ে এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে একটি গ্রুপ। এতে একদিকে যেমন রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, হাতিয়া উপজেলার ১ নম্বর হরনী ইউনিয়নে অবস্থিত হাতিয়া বাজার নোয়াখালীর দক্ষিণ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরুর হাট। বাজারটিতে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার বিশাল হাট বসে। কেনাবেচার জন্য চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ বৃহত্তর নোয়াখালীর আশপাশের লোকজনের অন্যতম পছন্দের এই বাজারে আসেন। এ বাজারে ব্যাপক হারে বেচাকেনার চাহিদার কারণে এ বছরে ইজারা মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এ বছর বাজারটির ইজারা পেয়েছেন আমিরুল ইসলাম মতিন নামের একজন ব্যবসায়ী।
ইজারাদারের অভিযোগ, এ বাজারের আশপাশে ইতিপূর্বে কোনো গরুর বাজার ছিল না। হঠাৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, একই দিনে আমাদের বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য নতুন করে পথিমধ্যে একটি বাজার বসানো হয়েছে। আমাদের ইজারাকৃত হাতিয়া বাজারের উদ্দেশ্যে গরু নিয়ে আসার সময় ব্যাপারীদের পাশ্ববর্তী সুবর্ণচর উপজেলার ভূঁইয়ার হাট বাজারে জোরপূর্বক গাড়ি থেকে গরু নামিয়ে ওই বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়। এতে হঠাৎ রাস্তার দুই পাশে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, ইজারাদার হিসেবে আমার বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আমি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দত্তের হাটের গরু ব্যাপারী নাসির উদ্দিন জানান, “আমরা হাতিয়া বাজারে দীর্ঘদিন ধরে গরুর ব্যবসা করে আসছি। সেখানে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতা ছিল। আজকে ভূঁইয়ার হাট হয়ে হাতিয়া বাজারে আসার পথে আমাদের রাস্তার উপর থামিয়ে দেয় একটি গ্রুপ। তারা আমাদের সামনে হাতিয়া বাজারে না গিয়ে এখানে গরু কেনাবেচার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।”
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ মোবাইল ফোনে বলেন, “আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”বস্থা নেয়া হবে।
শহীদ