
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাইয়ারা বাজার থেকে মান্দ্রা বাজারের সড়কটির বেহাল অবস্থা হওয়া প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নাঙ্গলকোটের দক্ষিণ অঞ্চলের ৪ টি ইউনিয়নের প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগের নাম বাইয়ারা মান্দ্রা সড়ক। সড়কটিতে পা বাড়ালেই ছোট-বড় খানা-খন্দকের হাতছানি চোখে পড়ে। সড়কের এমন কোন স্থান নেই যেখানে খানা-খন্দক নেই। এলজিডির ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিতে শত-শত ছোট-বড় খানা-খন্দকের কারণে সড়কটি দিয়ে যাতায়াতে এলাকাবাসীর দূর্ভোগের শেষ নেই। বর্তমানে সড়কটির একেকটি ছোট-বড় খানা-খন্দকে পানি জমে পুকুরে পরিণত হয়েছে। ফলে সড়কটি যাতায়াতে একেবারেই অনুপযোগী হওয়ায় ছোট-বড় যানবাহনসহ পথচারীদের সড়কটি দিয়ে যাতায়াতে অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বর্তমানে সড়কটি এলাকাবাসীর নিকট মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে! অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সড়কটি দেখার কেউ নেই। সড়কটির বেহাল দশায় গত প্রায় পাঁচ বছর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস, মালাবাহী ট্রাক-ট্রাকটর, পিকআপভ্যান, মোটরসাইকেল আরোহী ও পথচারীদের হেঁটে দুর্ভোগের মধ্যে সড়কটি দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিশেষ করে সড়কটির উপর দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন বাজারের প্রবেশমুখ এবং বাজারে বড়-বড় গর্তে পানি জমে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটির বেহাল দশা বিরাজ করলেও সড়কটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। সড়কটি দিয়ে ছোট-বড় যানবাহনের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পথচারীদের যাতায়াতে দুর্ভোগসহ অসুস্থ রোগীবাহি এ্যম্বুলেন্স যাতায়াতে অসুস্থ রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। সড়কটি দিয়ে এক ঘন্টার যাতায়াতে প্রায় আড়াই ঘন্টা সময় লেগে যায়। সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চল, বাইয়ারা , ভবানীপুর, দুড়িয়ারা,দুয়ারিয়া, মান্দ্রা উপর দিয়ে সড়কটি প্রবাহিত রয়েছে। বাইয়ারা ও মান্দ্রা বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকালে সড়কটিতে পানি জমে জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি হয়ে বড়-বড় খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়। ফলে সড়কটি একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এলজিডির সড়কের পাশে উল্লেখিত বাজারগুলোসহ বিভিন্ন স্থানের বড়-বড় খানা-খন্দকে ইটের সলিং বসিয়ে সড়কটি কোনরকম যাতায়াতের উপযোগী করেন। বাইয়ারা বাজারের ব্যবসায়ী সামছুল আলম বলেন, সড়কটির বেহাল দশায় সড়কটি দিয়ে এলাকাবাসীকে চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিশেষ করে বাজারে মান্দ্রা বাজারের দিকে যেতে বড় ধরণের একাধিক খানা-খন্দকের কারণে সড়কটি দিয়ে এলাকাবাসীর যাতায়াত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সিএনজি চালিত অটো রিক্সা ড্রাইভার জসিম উদ্দিন বলেন, সড়কটিতে অসংখ্য খানা-খন্দকের কারণে যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীরা গাড়িতে উঠতে চায় না। সড়কটির খানা-খন্দকে পড়ে প্রতিনিয়ত গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় সড়কটি যাতায়াতে একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। আধা ঘন্টার পথ যাতায়াতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লেগে যায়। এলজিডির নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুর রহমান সিকদার বলেন, এ রাস্তাটি টেন্ডার হয়েছিল এবং কাজ ও শুরু হয়েছে। ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে টেন্ডারটি বাতিল করা হবে। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে পূনরায় আবার কাজ শুরু হবে।
আসিফ