ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

মুখীকচুর সঙ্গে টমেটোর বাম্পার ফলন

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:২৩, ২২ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০০:২৪, ২২ এপ্রিল ২০২৫

মুখীকচুর সঙ্গে টমেটোর বাম্পার ফলন

ছবি- ক্ষেতে কৃষক মোঃ দুলাল মিয়া

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার উত্তর হাফিজপুর গ্রাম। এ গ্রামে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। এ মাঠে পতিত প্রায় ৩০ শতক জমি আবাদ করেন কৃষক মোঃ দুলাল মিয়া।

আবাদকৃত জমিতে কি জাতের ফসল চাষ করবেন, এ নিয়ে ভাবছিলেন ওই কৃষক। মাঠ পরিদর্শনে এসে বিষয়টি জানতে পারেন উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীম। তিনি কৃষক মোঃ দুলাল মিয়াকে মুখীকচুর সঙ্গে বাহুবলি জাতের টমেটো চাষের জন্য উৎসাহিত করেন। পরে তাকে ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় মুখীকচু প্রদর্শনী প্রদান করা হয়। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীমের সার্বিক পরামর্শ পেয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি মুখীকচু রোপণ করেন। সঙ্গে রোপণ করেন বাহুবলি জাতের টমেটোর চারা। মাস যেতেই টমেটো গাছে ফুল আসে। কিছুদিনে মধ্যে গাছে গাছে টমেটো শোভা পায়। আর টমেটো গাছের ছায়া পেয়ে মুখীকচু গাছ হয় সুন্দর। সরেজমিনে গেলে কৃষক মোঃ দুলাল মিযার সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা যায়। কৃষক মোঃ দুলাল মিয়া বলেন- জমি পতিত ছিল। ভাবলাম ফেলে রেখে লাভ নেই। আবাদ করি। আবাদকৃত জমিতে মুখীকচুর সঙ্গে টমেটো চাষে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখানে টমেটো বিক্রি শুরু করেছি। বাজারে পাইকারীভাবে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করছি। কিছু দিন গেলে টমেটোর দাম আরও বাড়তে পারে। আশা করি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবো। পরে মুখীকচু বিক্রি থেকে আরও ৭০ হাজার টাকা আসবে বলে আশাবাদী। উত্তর হাফিজপুরের কয়েকজন কৃষক জানান- তারা দুলাল মিয়ার চাষাবাদ দেখেছেন। এক সঙ্গে মুখীকচু ও টমেটো চাষ তারা প্রথম দেখে উৎসাহিত হয়েছেন। আগামী মৌসুমে তারাও এভাবে চাষ করতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।

উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. শামিমুল হক শামীম বলেন- বাহুবলে এই প্রথম মুখীকচুর সঙ্গে টমেটো চাষ হয়েছে। এখানে পরামর্শ দিয়ে সফল হয়েছি। পতিত জমি আবাদ করে কৃষক মোঃ দুলাল মিয়া লাভবান। তার এমন চাষাবাদ দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও উৎসাহিত হয়েছেন। তারাও এভাবে চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। 

আসিফ

×