
ছবি: জনকণ্ঠ
নাম শ্রাবণী আক্তার। বর্তমান বয়স ১৫ বছর। তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী। একদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধী অন্যদিকে বিরল রোগে আক্রান্ত শ্রাবণী। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বিরল এই রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব প্রায় তার পরিবার। টাকার অভাবে মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে চিকিৎসা। মেয়েকে বাঁচাতে সরকার ও বিত্তবানদের দিকে চেয়ে আছেন তারা।
চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে এ রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। বিদেশে নিতে পারলে মিলতে পারে উন্নত চিকিৎসা।
যে বয়সে দুরন্তপনায় মেতে উঠার কথা, সে বয়সে বিছানায় দিন কাটে শ্রাবণীর ।
শ্রাবণী কালকিনি পৌর এলাকার মিনাজদি গ্রামের লিটন শিকদারের মেয়ে।
লিটন শিকদার বলেন, প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে আমার মেয়ে শ্রাবণী আক্তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। সেখানে ডাক্তারদের সহযোগিতায় পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে আমাদেরকে তারা জানান যে, শ্রাবণীর শরীরে এমন এক রোগ রয়েছে এটা বিরল।
তার শরীরের চামড়া খসে-খসে পড়ছে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন তাকে বিদেশে চিকিৎসা করানো জন্য। কিন্তু দু:খ জনক বিষয় ইতোমধ্যে শ্রাবণীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবারের শেষ সম্বলটুকুও শেষ করে দিয়েছি। এখন মেয়ের চিকিৎসা সেবা করানোর মত কোন টাকা-পয়সা নেই। শ্রাবণীর চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন যা সংগ্রহ করা আমার সম্ভব হচ্ছে না। তাই সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বানদের সহযোগিতায় আমার মেয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারবে। তাই আমার মেয়ের জীবন বাঁচাতে সবার কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।
কেউ যদি সহযোগিতা করতে চান তাহলে রোগীর বিকাশ ও মোবাইল নাম্বার-০১৭৭৩৫৮৯২৪৩ যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা সাহায্য পাঠাতে পারেন।
পরিবারের পক্ষে মো. জাফরুল।
আবুবকর