
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। শনিবার থেকে গত ৩ দিন ধরে রোগীদের ব্যবহারের পানি নেই হাসপাতালে। যে কারণে নদী ও পুকুর থেকে রোগীদের স্বজনরা পানি এনে ব্যবহার করছে টয়েলেটে। খাবার পানি কিনে আনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। এ হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম নিজ কর্মস্থলে অফিস করছেন ইচ্ছা মাফিক। স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে তিনি হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে সপ্তাহের বুধবার অফিস করে কর্মস্থল ত্যাগ করে পুনরায় ফিরে আসেন রবিবার। দেখার যেন কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।
সর্বশেষ এ কর্মকতা গত সপ্তাহেও মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, তার কক্ষের মূল ফটকে ঝুলছে তালা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহারিয়ার ফাত্তাহ্ বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুজাহিদুল ইসলাম তার ছেলে অসুস্থ থাকায় তাকে নিয়ে ব্যস্ত আছেন। মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে মহিলা বেডে চিকিৎসাধীন ভর্তিকৃত রোগী পারুল বেগম, শিমা আক্তার, নাসিমা বেগম, প্রতিবন্ধী সুমাইয়া, রোগীর স্বজন ফারুক মল্লিকসহ একাধিক রোগী বলেন, টয়েলেট অপরিষ্কার,দুর্গন্ধ, বদনাটাও তলা ফাটা, এগুলো দেখার কি কেউ নেই?। নিজেদের ব্যবহারের পানি নদী ও পুকুর থেকে বোতলে করে এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। খাবার পানি তাও দোকান থেকে কিনে এনে খাচ্ছি।
এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ব্যবহারের পানি তোলার ৩টি মর্টারের ২টি অনেকদিন ধরে নষ্ হয়ে রয়েছে। একটি মর্টার চালু থাকলেও তাও বর্জ্রপাতে নষ্ট হয়ে গেছে। বিকল্প হিসেবে রোগীদের জন্য ২টি ড্রামে সকাল- বিকেল পানি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ জানান, হাসপাতালের রোগীদের সমস্যার বিষয়ে তিনি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি সমাধানের জন্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন এ এস এম মাহাবুবুল আলম বলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম তার ছেলে অসুস্থ থাকায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে, রবিবার সে অফিস করবে।
প্যানেল