ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

উত্তরাঞ্চলের ৭৮৭ মিলারের লাইসেন্স বাতিল 

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী

প্রকাশিত: ০০:১৭, ২১ এপ্রিল ২০২৫

উত্তরাঞ্চলের ৭৮৭ মিলারের লাইসেন্স বাতিল 

চাউল সরবরাহ করতে সরকারের খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি না করায় উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের নীলফামারী সহ আট জেলার ৭৮৭মিলারের লাইসেন্স বাতিল করছেন খাদ্য দপ্তর। এরমধ্যে ৩৫৯ টি মিলের লাইন্সেস বাতিল হয়। বাকী ৩২৮ টি মিলের লাইন্সেস বাতিলের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সুত্রমতে  চাল সংগ্রহ অভিযানে সরকারের সাথে ওই সকল মিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে।  

রবিবার(২০ এপ্রিল) খাদ্য বিভাগের তথ্য মতে রংপুর জেলায় সিদ্ধ চাল সরবরাহের চুক্তি করেনি ১০৪ জনমিলার। এর মধ্যে একটি অটো এবং ১০৩টি হাস্কিং মিল রয়েছে। একই কারনে দিনাজপুরে ২৯৬টি, ঠাকুরগাওয়ে ১৩৯টি নীলফামারীতে ২৪টি, কুড়িগ্রামে ৩৪টি, লালমনিরহাটে ২৬টি, এবং পঞ্চগড়ে ৩৩টি অটো এবং হাস্কিং মিলখাদ্য বিভাগের সাথে চুক্তি করেনি।  ফলে ওই সবমিলারদের লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ২৮ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন ধান ও চাল সংগ্রহের অভিযান চলে। রংপুর বিভাগে ধানের সংগ্রহ সন্তোষজনক ছিল না।

সূত্রমতে আমন মৌসুমে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৫ হাজার ৯৪০ মেট্রিকটন। সেখানে অর্জন হয়েছে মাত্র ১২ শতাংশ। অপরদিকে আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন ও  সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় এক লাখ ৩৪হাজার ৭৫৪ মেট্রিক টন। সেখানে সংগ্রহ প্রায় শতভাগ। এ চাল তিন হাজার ২৩৬ জন মিলারের দেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ৭৮৭ জন মিলার চাল সরবরাহে খাদ্য বিভাগের সাথে চুক্তি করেনি। ফলে ওই সব মিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আটজেলায় আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭৫ হাজার ৯৪০ টন।  ধান সংগ্রহ হয়েছে ৫ হাজার ৬৩৭ মেট্রিক টন। এর মধ্যে রংপুর জেলায় ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৮৬৪ টন। সংগ্রহ হয়েছে ১৬০ টন। গাইবান্ধায় ৮হাজার ৩৪০ টনের বিপরীতে ২৩০ টন, কুুড়িগ্রামে ৭ হাজার ৯৪৮ টনের বিপরীতে শূন্য টন,লালমনিরহাটে ৫ হাজার ৬৪৮ টনের বিপরীতে ১১৪ টন, নীলফামারীতে ৭ হাজার ৫৫ টনের বিপরীতে ২হাজার ৬৪৩ টন,দিনাজপুরে ১৭ হাজার ৯৯১ টনের স্থলে ২ হাজার ২১টন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ হাজার ১৮১ টনের বিপরীতে ৩১৫ টন ও পঞ্চগড়ে ৭ হাজার ২৯৩ টনের বিপরীতে ১২০ টন সংগ্রহ হয়।

রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ৭৮৭ মিলার চালসরবরাহ করার সামর্থ্য থাকার পরেও চুক্তি করেনি। এর মধ্যে ৩৫৯ মিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাকিদের লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারের দামের সাথে পার্থক্য থাকায় ধানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

 

রাজু

×