ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

চীনের হাসপাতাল নির্মাণ

স্বপ্ন দেখছে রংপুর বিভাগের মানুষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর

প্রকাশিত: ০১:৪০, ২০ এপ্রিল ২০২৫

স্বপ্ন দেখছে রংপুর বিভাগের মানুষ

চীনের অর্থায়নের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে গঙ্গাচড়ায় মানববন্ধন

চীনের অর্থায়নে উপহারের হাসপাতাল নিয়ে স্বপ্ন দেখছে রংপুর বিভাগের মানুষ। রংপুরের গঙ্গাচড়াসহ তিস্তাপাড়ের কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ হাসপাতালটি নির্মাণ হলে উত্তরের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আমূল পরিবর্তন আসবে। কমবে ভারতনির্ভরতা বলে মনে করছেন সচেতনরা। এদিকে তিস্তা নদী বেষ্টিত ৫ জেলাবাসী হাসপাতালটি নিজ জেলায় নিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোর দাবি তুলেছে। অনেক জেলায় মানববন্ধন-সমাবেশ কর্মসূচিও পালিত হয়েছে। 
চীন সরকারের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল তিস্তা নদী বেষ্টিত রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ হয়েছে। শনিবার উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের তিস্তা সড়ক সেতুতে এতে গঙ্গাচড়া উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংষ্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ তিস্তা নদীবেষ্টিত চরের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।

তিস্তা উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত এ সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নায়েবুজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন, লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী, ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান দুলু, অ্যাডভোকেট সামসুল হুদা, যুবদল নেতা মিজানুর রহমান লুলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গঙ্গাচড়া সভাপতি আনিছুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি ইফাত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীবসহ অন্যরা। 
রংপুর চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আকবর আলী জানান,  রংপুরের মাহীগঞ্জে ভারত ভিসা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। আর তখনই আমাদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, তিস্তা নিয়ে যারা আন্দোলন করেছে ও এই অঞ্চলের সুধীজনদের নিয়ে দ্রুত হাসপাতাল নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা উচিত। 
রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল বলেন, আমরা গঙ্গাচড়ায় আনঅফিসিয়ালি একটি জায়গা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দরা উপস্থিত ছিলেন। 

নীলফামারী
স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, চীনের অর্থায়নে তিস্তা নদী সংলগ্ন উত্তরাঞ্চলে  প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতালটি তিস্তা বিধৌত জেলা নীলফামারীতে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছেন সর্বস্তরের জনগণ। এ ছাড়া জেলা আইনজীবী সমিতি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এতে অংশ নেয়।  শনিবার  বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত নীলফামারী জেলা শহরের চৌরঙ্গি মোড়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তৃতা দেন সাবেক এমপি এনকে আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আলফারুক আব্দুল লতিফ, আনিছুর রহমান আজাদ, পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ানুল হক বাবু, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ড. খায়রুল আনাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্স, নীলফামারী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পায়েলুজ্জামান রক্সি, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব অলিউর রহমান হেলাল, নাগরিক কমিটির অন্যতম প্রতিনিধি আকতারুজ্জামান খান প্রমুখ।

গাইবান্ধা
নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রস্তাবিত ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ছাত্র-জনতা। এ লক্ষ্যে শনিবার গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে সংহতি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

চীনের উপহারের হাসপাতালটি গাইবান্ধায় স্থাপনের দাবিতে সভায় বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক সংগঠক আলমগীর কবীর বাদল, গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন, জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক ও সাধারণ সম্পাদক মাহামদুুন্নবী টিটুল, সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান, চিকিৎসক নেতা ফেরদৌস হোসেন মঞ্জু, ডা. শামসুজ্জোহা সাজু, ডা. আসাদুজ্জামান সাজু, ব্যবসায়ী নেতা মকসুদার রহমান শাহান প্রমুখ।

×