
লালচান
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কৃষক নুর আলম মাঝি। কৃষি কাজের পাশাপাশি শখের বসে প্রথমে ২০২২ সালে একটি গরু কিনে ঘরের পাশে ছোট্ট একটি গোয়াল ঘরে নুর আলম ও তার স্ত্রী লালন পালন করতে থাকেন। রাত দিন কঠোর পরিশ্রম আর আদর যত্নে ৪ বছরে তাদের গোয়াল ঘরে এখন ছোট বড় ৭টি গরু বেড়ে উঠেছে। তাদের গোয়াল ঘরে পোষা দুটি ষাঁড়গরুর এক একটি ওজন এখন প্রায় ৪০ মণ। এই দম্পতি সন্তানের মত লালন পালন করা ষাঁড় দুটির নাম দিয়েছেন লালচান ও রাজাবাবু। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম আর স্বপ্নপূরণে ন্যায্য দাম পেলে এবারের কোরবানির হাটে লালচান ও রাজাবাবুকে বিক্রি করতে চান তারা। সবসময় সন্তানের মতো ষাঁড়দুটোকে আগলে রেখেছেন নুর আলম মাঝির স্ত্রী হেপি বেগম। কোন ফিট খাবার নয় বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে তাদের উৎপাদিত ঘাস খাওয়াচ্ছেন ফার্মের গরু গুলোকে। এদিকে, কোরবানি সামনে রেখে লালচান ও রাজাবাকুকে দেখতে নুর আলম মাঝির বাড়িতে আসছেন অনেকেই। অনেকে মোবাইলে ধারণ করছেন ষাঁড়দুটির ছবি ও ভিডিও। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লালচান ও রাজাবাবুর ছবি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন বরিশালের কোরবানির হাটে রাজত্ব করবে লালচান ও রাজাবাবু।
নুর আলম মাঝি জানান, প্রথমে সখের বশে একটি গরু পালেন তিনি। এখন তার গোয়াল ঘরে ৭ টি গরু রয়েছে। গরুর প্রথম বাচ্চাটি হয় তিন বছর আগে এখন তার নাম লালচান। এর পরে জন্ম হয় রাজাবাবুর। গত বছর কোরবানির হাটে লালচানকে বিক্রি করতে নিলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় বিক্রয় করা সম্ভব হয়নি। এ বছরও বিভিন্নজন দেখতে এসে বিভিন্ন রকমের দাম বলছে। তবে হাটে নেওয়া খুব কষ্টসাধ্য লালচান ও রাজাবাবু বদমেজাজ স্বভাবের। ন্যায্য দাম পেলে বাড়িতে বসেই বিক্রয় করব।
নুর আলম মাঝির স্ত্রী হেপি বেগম বলেন, ‘রোজার ঈদের পর থেকে ষাঁড় দেখতে বাড়িতে লোকজন আসা শুরু করেছে। গরুগুলোকে কোন ফিট খাবার খাওয়াই না। ফসলের মাঠের ঘাস ও খরকুটা খাওয়াইয়া ওদের এত বড় করেছি। ন্যায্য দাম পেলে এই বছর বিক্রয় করব।
রাজু