
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার হাওরাঞ্চলে এখন চলছে বোরো ধান কাটার ব্যস্ততা। কেউ ধান কাটছেন, কেউ মাড়াই করছেন, আবার কেউ খলায় ধান শুকাচ্ছেন। নতুন ধানের ম-ম গন্ধে মুখরিত চারদিক। চাষিদের মুখে হাসি, তবে সেই হাসির ফাঁকে লুকিয়ে আছে উদ্বেগও।
বৈশাখের শুরুতেই পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার কাজ। উপজেলার ভরাম ও চাপাতির হাওরজুড়ে চলছে ধান কাটার উৎসব। তবে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) থেকে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
ভরাম হাওরের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, “হাওরে এখন ধান কাটা চলছে। কিন্তু শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। রোজ এক মন ধানের বিনিময়ে লোক খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। মেশিনে কাটলেও বিঘা প্রতি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।” তিনি আশা করেন, ১০-১৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা শেষ করা যাবে।
চাপাতির হাওরের কৃষক রমেশ দাস বলেন, “এবার ফলন ভালো হয়েছে। দামটা যদি ঠিকঠাক পাই, তাহলে আমাদের মতো কৃষকেরা সত্যিই উপকৃত হবো।”
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সনজীব সরকার জানান, এ বছর উপজেলায় ৩০ হাজার ১৭৭ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধান আবাদ হয়েছে। তিনি বলেন, “বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, তবে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। পাকা ধান জমিতে না রেখে দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, “কৃষকেরা নির্বিঘ্নে তাঁদের সোনার ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।”
নুসরাত