
ভোলার গ্যাস, ভোলার স্থানীয়দের ঘরে ঘরে সংযোগ না দিয়ে সিএনজি আকারে ঢাকার কলকারখানায় দেয়ার প্রতিবাদে গ্যাস পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং কোম্পানির গাড়ি আটকে দিয়েছে ছাত্র জনতা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টায় গ্যাস পরিবহনের একটি গাড়ি ঢাকা যাওয়ার পথে বাস টার্মিনাল এলাকায় আটক করা হয়।
এসময় ছাত্র-জনতার' ভোলার গ্যাস দিয়ে ভোলায় কলকারখানা স্থাপন ও ঘরে ঘরে গ্যস সরবরাহের দাবিতে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত শ্লোগান সহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও শনিবার সকাল পর্যন্ত ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং কোম্পানির গাড়ি ভোলা থেকে ঢাকায় যেতে পারেনি।
জানা যায়, ২০২৩ সালের মে মাসে ভোলার গ্যাস সিলিন্ডার করে ঢাকার কলকারখানায় সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ব সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানীর সাথে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রাথমিক পর্যায়ে দৈনিক ৫ মিলিয়ন গ্যাস ঢাকার ১৮টি কারখানায় সরবরাহ করছে ইন্ট্রাকে রিফুয়েলিং কোম্পানী।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে ভোলায় গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানা স্থাপন, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ ও গ্যাস পাচার বন্ধ করা সহ ৫ দফা দাবিতে তারা শহরে একটি মানববন্ধন ও মিছিল করে ব-দ্বীপ ছাত্র কল্যাণ সংসদ। ওইদিন রাতে ভোলা থেকে ঢাকাগামী সিএনজি গ্যাস পরিবহনের গাড়ি ভোলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় আটক করে ছাত্রজনতা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, তাদের দাবি মানা না হলে ভোলা থেকে এক বিন্দু পরিমাণ গ্যাস ভোলার বাইরে যেতে দিব না। দাবি মানা না হলে প্রয়োজনে ঢাকা ঘেরাও থেকে শুরু করে লংমার্চ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
পুলিশ ও ইন্ট্রাকোর কর্মীরা জানান, অন্যদিনের মতো শুক্রবার রাতেও গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই গাড়ি বেপারীর দোকান এলাকার ডিপো থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে বাস টার্মিনাল এলাকায় আসলে ছাত্র-জনতা গাড়িটি আটক করে তাদের দাবির কথা জানান। তখন গ্যাস বোঝাই গাড়িটি ঢাকায় না গিয়ে ওই এলাকায় স্থানীয়দের জিম্মায় রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসেন।
ভোলা সদর মডেল থানার এসআই ওয়াসিব আলম জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইন্ট্রাকো কোম্পানির স্থানীয় কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন জানান, ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে গাড়িটি ঢাকা যাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
রিফাত