
ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী নগরীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আকরাম আলী (৪৫) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা নান্টুসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে র্যাব-৫ সদর দফতরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তাদের গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মহানগরীর তলাইমারি শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে নান্টু মিয়া (২৮) ও একই এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে খোকন মিয়া (২৮)।
এর মধ্যে অভিযুক্ত নান্টু মিয়া এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা। আর খোকন মিয়া এই মামলার তিন নম্বর আসামি বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) গভীর রাতে পাশের জেলা নওগাঁ সদরের রামরায়পুরের আড়পাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-৫ এর অভিযানিক একটি দল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযানের তথ্য তুলে ধরেন র্যাব-৫ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ। তিনি বলেন, গ্রেফতার আসামিরা ঘটনার পরে কোন আত্মীয়স্বজনের বাসায় না গিয়ে গোপনে তারা ভ্যানযোগে নওগাঁর উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপরে ভ্যানচালকের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তারা রাতে আশ্রয় নেয়।
তিনি আরও বলেন, গভীর রাতে নওগাঁ সদরের রামরায়পুরের আড়পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে আসামিদের মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে মহানগরীর তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকা থেকে রুমেল (২৫) নামের আরও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতার রুমেল তালাইমারি এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে। সেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকায় বাবা আকরাম আলীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বখাটেদের এই হামলার সময় তার ছেলে ইমাম হাসান অনন্তও আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের ভর্তির পর আকরাম আলীর মৃত্যু হয়। তিনি রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য এবং পেশায় বাসচালক ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলে ইমাম হাসান অনন্ত বাদী হয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আকরাম আলী হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে মো. নান্টু মিয়া (২৮), মৃত রতনের ছেলে মো. বিশাল (২৮), মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. খোকন মিয়া (২৮), তালাইমারি বাবর আলী রোড এলাকার শাহীনের ছেলে তাসিন হোসেন (২৫) ও মো. অমি (২৫), জামালের ছেলে মো. নাহিদ (২৫) এবং পিরুর ছেলে মো. শিশির (২০)।
মামুন-অর-রশিদ / ফারুক