
ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্লেষকদের মতে, ৫ আগস্টের ঘটনার পর গণঅভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের মতে, যদি ডিসেম্বরের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়, তাহলে তার মূল দায় নিতে হবে বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে, কারণ তারাই নির্বাচন নিয়ে সময়সীমা নির্ধারণ করছে।
এমন প্রেক্ষাপটে ‘জাতীয় সংস্কৃতি তৈরির নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে ইম্যাজিনেক্সট ফাউন্ডেশন। সেখানে নির্বাচন, রাজনৈতিক সংস্কার এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কেমন হবে, তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। বক্তারা মত দেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সংস্কৃতির বিকাশ অপরিহার্য। তারা আরও উল্লেখ করেন যে, অভ্যুত্থানের পর যে নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মাজহার বলেন, ‘ড. ইউনূস বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আনছেন। বিনিয়োগ আনা মানেই কিন্তু ভালো না। এই কোম্পানিগুলো কিন্তু মাটি, পানি নষ্ট করছে। এবং তার কোনো ব্যবস্থা বা পরিবেশগত কোনো ব্যবস্থা, সংস্কৃতির দিক থেকে সংস্কৃতি রক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা তিনি করেননি।’
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, নতুন প্রজন্ম তো একটা স্বপ্ন তৈরি করলো। এখন এই বিষয়গুলোকে কীভাবে প্রতিদ্বন্দিতামূলকভাবে বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপন করতে পারবো তার উপরে নির্ভর করবে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি।’
বিরাজমান রাজনীতিতে অন্তঃকোন্দল ও নির্বাচন বিষয়ে সময় বেধে দেয়ার সমালোচনা করেন সভায় উপস্থিত জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর আমাদের কাট অফ টাইম। ডিসেম্বরর মধ্যে নির্বাচন না হলে এর পরে দেশে বিশৃঙ্খলা হবে। যদি ডিসেম্বরের পরে বিশৃঙ্খলা হয়, এটার দায় কে নেবে?’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=_ZQxLHl_deQ
মুমু