
একটি সেতুর অভাবে সাত বছর ধরে খাল পারাপারে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০ গ্রামের বাসিন্দা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই খাল পার হচ্ছেন তারা। একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো কিংবা নৌকা। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষায় নৌকার মাধ্যমে পারাপার হতে হয় মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেতিলা মিত্রা ইউনিয়নের নালোরা খাল। ২০১৮ সালে খালের উপর নির্মিত পাকা সেতুটি ভেঙে গেলে শুরু হয় খেয়া নৌকায় পারাপার।
ভোগান্তি লাঘবে ২০২২ সালে প্রায় ৭ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নতুন সেতু নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রকল্পের দায়িত্ব পায় কামারজানি ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গড়িমসির কারণে এখন পর্যন্ত মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এতে করে নালোরা খালের দুই পাড়ের ১০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এ বিষয়ে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এ বি এম খোরশেদ আলম বলেন,“আমরা তাকে চূড়ান্ত নোটিশ হিসেবে ২৮ দিনের নোটিশ দিয়েছি। ২৮ দিনের মধ্যে কাজটি শুরু করলে আমরা এটি সংশোধিত ওয়ার্ক প্ল্যান বা রিভাইজড ওয়ার্ক প্ল্যান হিসেবে গ্রহণ করব। একটি ম্যানেজমেন্ট মিটিংয়ের মাধ্যমে রিভাইজ প্ল্যানে প্রত্যেকটি কম্পোনেন্ট বাস্তবায়নের জন্য যৌক্তিক সময় নির্ধারণ করা হবে। যাতে করে জনদুর্ভোগ কমানো যায়। আর ২৮ দিনের মধ্যে যদি কাজ শুরু না করে, তাহলে কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্টের ধারা অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত সেতু নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে। নতুবা জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
সূত্র:https://tinyurl.com/4dcabeux
আফরোজা