ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

রোগাক্রান্ত হচ্ছেন পথচারীরা

সীতাকুন্ড পৌরসভায় ২৫ বছরেও গড়ে ওঠেনি ডাম্পিং স্টেশন

সংবাদদাতা, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২২:৫০, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সীতাকুন্ড পৌরসভায় ২৫ বছরেও গড়ে ওঠেনি ডাম্পিং স্টেশন

.

সীতাকুন্ড পৌরসভায় কোনো ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নেই। তবে পৌর সদরের শেখপাড়া এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশের খালি জায়গাকে আবর্জনার ভাগাড়ে (ডাস্টবিন) রূপান্তর করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, ২০০১ সালে সীতাকুন্ড পৌরসভা গঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পৌরসভায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাম্পিং স্টেশন গড়ে ওঠেনি। ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় পৌর সদরের শেখপাড়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের খোলা জায়গায় পৌর বাজার এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ধীরে ধীরে তা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়।
মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা এসব ময়লা-আবর্জনার স্তূপের কারণে পথ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত মহাসড়কের এ স্থান দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী এবং পথচারীদের। এতে বাতাসে নানা ধরনের রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ায় রোগাক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয় ও পথচারীরা। এ ছাড়া মহাসড়কের এ স্থানে প্রায়শই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় শেখপাড়া এলাকার বাসিন্দা অমর কান্তি শীল জানান, মহাসড়কের পাশে স্তূপ করা এসব ময়লা-আবর্জনার উৎকট গন্ধ আশপাশের এক কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এলাকার লোকজনের পাশাপাশি বাসযাত্রী ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রুমাল দিয়ে নাক চেপেও পাশ দিয়ে হাঁটা দায় হয়ে পড়েছে পথচারীদের। বিষয়টির সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশ কয়েকবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি।
একই এলাকার বাসিন্দার দিবাকর কান্তি বড়ুয়া বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের এ স্থানে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ের কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ স্থান দিয়ে চলাচলে ময়লার পচা গন্ধে বমি চলে আসে। বাতাসে ভেসে আসা দুর্গন্ধে প্রতিনিয়ত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নীরবতায় মহাসড়কের ওই স্থানে বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশের মারাত্মক দূষণ ঘটছে। মহাসড়কের পাশের এ ময়লার ভাগাড় সরাতে আমরা বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি।
সীতাকুন্ড পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুন্নবীর কাছে ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্যানেল

×