
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবিএম বাতেনের (৪০) বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাজিরুল ইসলাম দুলুর (৯০) বাড়িতে হামলা, আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ভুক্তভোগী নাজিরুল ইসলাম দুলু গোয়ালন্দ ঘাট থানায় উপস্থিত হয়ে এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত এবিএম বাতেন গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও মো. কোরবান মণ্ডলের ছেলে।
অভিযোগে দুলু উল্লেখ করেন, তার ছেলে গোয়ালন্দ সুপার সর্পের মালিক নাজিমুল ইসলাম বৃটেন গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিজেদের জমিতে একটি রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করছেন। ওই রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন জায়গাটি এবিএম বাতেনের মালিকানাধীন হওয়ায় উভয়ের মধ্যে পূর্ব থেকেই জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
দুলুর ভাষ্যমতে, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বাতেন তাদের পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে এসে বৃটেনকে খুঁজতে থাকেন। তখন বৃটেন বাড়িতে না থাকায় তিনি (দুলু) এগিয়ে গেলে বাতেনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাতেন এর হাতে থাকা বাটাম দিয়ে বাড়ির বারান্দায় থাকা চেয়ার-টেবিল, ফুলের টবসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় ১০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন তিনি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুলু ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করেন। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে বাতেন প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এবিএম বাতেন বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, সাজানো এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি নাটক। বৃটেন আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও বন্ধু, আর তার বাবা আমার শ্রদ্ধেয় নেতা। আমি তার বাড়িতে গিয়েছিলাম জমি সংক্রান্ত একটি বিষয় জানাতে। কোনো হামলা, ভাঙচুর বা হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। ওদের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।”
বাতেন আরও দাবি করেন, বৃটেনের রেস্টুরেন্ট নির্মাণকাজে তার জমির একটি অংশ দখল করে নেওয়া হয়েছে এবং তার অফিস ঘরের চালার ওপর দিয়ে রড বের করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে জানাতে তিনি নিজেই দুলুর বাড়িতে যান এবং অল্প সময় কথা বলে ফিরে আসেন।
ঘটনার বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সজিব