
ছবি: জনকণ্ঠ
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারীতে নিজ গ্রামের সীমান্তে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে হাসিনুর ইসলাম (২২) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
নিহত হাসিনুর একই গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার একদিন পর বিএসএফ লাশ ফেরত দিলে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে জানাজা শেষে নিজ গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।
প্রত্যদর্শীরা জানায়, বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরের উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের মধ্য সিংগীমারী এলাকায় নিজেদের ফসলি জমি থেকে ঘাস কাটতে যায় হাসিনুর। সে আপন মনে ঘাস কাটছিল। এ সময় কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ভারতীয় বিএসএফের একটি টহল দল বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করে এবং কোনও কারণ ছাড়াই খুব কাছ থেকে গুলি করে হাসিনুরকে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । এরপর রাইফেলের বাট দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়। পরে তাকে টেনে-হিঁচড়ে ভারতের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, বাংলাদেশিকে গুলি করার ঘটনায় বিজিবির আহবানে ওই দিন বিকেল পাঁচটায় ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠকে অংশ নেয় বিএসএফ। বৈঠকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশিকে ফেরত চাওয়া হয়েছিল। বিএসএফের পক্ষে জানানো হয় আহত হাসিনুরের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। কিন্ত ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভারতের কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরে, পুনরায় বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠকে লাশ ফেরতের বিষয়টি উঠে আসে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের জোংড়া ইউনিয়নে তিস্তা ব্যাটালিয়নের (৬১ বিজিবি) খারিজা জোংড়া এলাকার সীমান্ত পিলার ৮৮১/১৩-এ বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে হাসিনুর ইসলামের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গভীর রাতে নিহতের গ্রামের বাড়ি সিংগীমারীতে হাসিনুরের লাশ পৌঁছালে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এরপর শুক্রবার ভোরে নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন-নবী নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবুবকর