
ছবি: সংগৃহীত
কুয়াকাটায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আগুনে পোড়া বাগান পরিদর্শন করলেন পটুয়াখালীর সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ তারিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার তিনি এ বাগান পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, কুয়াকাটা বিট কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলামসহ বিটের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
সম্প্রতি কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন বনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কুয়াকাটা বিট কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলামকে ইতিপূর্বে শোকজ করা হয়েছে। মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ তাকে শোকজ দিয়েছেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সফিকুল ইসলাম। তিনি সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ তারিকুল ইসলামকে তদন্তের নির্দেশনা দেন। যার ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়।
তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বনে আগুন দেওয়ার ঘটনার তিনি সত্যতা পেয়েছেন। বিশেষ করে কুয়াকাটা বিটের সংরক্ষিত বনের মধ্যে দুইটি স্থানে আগুন দেওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। একটি জায়গায় গাছের তুলা সংগ্রহের জন্য আগুন দেওয়া হয়েছে। অন্য জায়গায় তুলা গাছ নেই। ধারণা করা হচ্ছে পথচারী অথবা মাদকসেবীদের সিগারেট থেকে আগুন লাগতে পারে। এতে প্রায় এক একর বন পুড়েছে। তিনি আরো বলেন, পরিদর্শনকালে বনের ভিতর থেকে বেশ কিছু গাছ কাটার চিহ্ন পেয়েছি। এ বিষয়টিও আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিট কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম সংরক্ষিত বনের ৮০/৮৫টি তুলাগাছের তুলা বিক্রি করেছেন স্থানীয়দের কাছে। ক্রেতারা গাছ থেকে তুলা সংগ্রহ করার জন্য গাছের নিচের আগুন দেয়। ফলে জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটা থেকে মানুষ ও তাদের সম্পদ রক্ষার সবুজ দেওয়াল হুমকির মুখে পড়েছে। বিলীন হয়ে যাচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। স্থানীয় মানুষের ভাষ্য, বিট কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে বনের মাটি, গাছ, ঘাস, ডাব পর্যন্ত বিক্রি করছেন।
বনাঞ্চলে আগুন দেওয়ার ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন দৈনিক জনকন্ঠসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশের পরে বনবিভাগ এমন উদ্যোগকে পরিবেশ কর্মীরা স্বাগত জানিয়েছেন।
আবীর