
ছবি : সংগৃহীত
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশসহ সাতটি দেশকে "নিরাপদ দেশ" হিসেবে চিহ্নিত করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশগুলো হলো কসোভো, কলম্বিয়া, মিশর, ভারত, মরক্কো ও তিউনিশিয়া। ইইউতে আশ্রয়প্রার্থীদের দ্রুত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে ইইউতে আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপক ঢল সামলাতে হিমশিম খায় সংস্থাটি। বিশেষ করে মরক্কো, তিউনিশিয়া ও মিশর থেকে আসা অভিবাসীদের ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এ পরিস্থিতিতে ইইউর সদস্য দেশগুলো তাদের অভিবাসন ও শরণার্থী নীতিমালা সংশোধন করে সংকট মোকাবিলায় ঐকমত্য পোষণ করে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা আশ্রয় আবেদন তিন মাসের মধ্যে পর্যালোচনা করে প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ পাবে ইইউ।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ইইউর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র মার্গারিটিস শিনাস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে যদি এসব দেশের পরিস্থিতি অনিরাপদ হয়ে ওঠে, তাহলে তালিকা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা। তারা এটিকে "বিভ্রান্তিকর ও বিপজ্জনক" বলে আখ্যা দিয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং ইইউর কিছু সদস্য রাষ্ট্রও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এছাড়া, ইউরোপীয় আদালতও এই তালিকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে, কারণ দেশগুলোর আঞ্চলিক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও ইইউ সদস্য দেশগুলোর অনুমোদন পেলে শিগগিরই এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
আঁখি