ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

জানা বিষয় উত্তরপত্রে লিখতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা -

শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ 

নিজস্ব সংবাদদাতা, শ্রীপুর, গাজীপুর

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ 

একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে বিদ্যুৎহীন পরিবেশ, এর উপর আবার টিনের চাল ও টিনের বেড়া বেষ্টিত অন্ধকার একাধিক পরীক্ষা কক্ষের পরীক্ষার্থীরা তাদের উত্তরপত্রে লিখতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রশ্নের উত্তর জানা সত্ত্বেও পরীক্ষা কক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে খাতায় লিখতে না পারায় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। 

আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার হাজী ছোট কলিম এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রে প্রায় দুই হাজার (১৯১৭ জন) পরীক্ষার্থী এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। 

পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভাষ্যমতে, এদিন ছিল ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা। সকাল ১০ টা থেকে টানা দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। আর তখনই কমপক্ষে ৪০ মিনিটের মতো বিদ্যুতের অনুপস্থিতি ঘটে। ওইসব কক্ষের জানালার পাশে যেসব শিক্ষার্থী বসেছিল তারা কেউ কেউ মৃদু আলোতে উত্তর প্রদান করতে পেরেছিল। কিন্তু ওইসব কক্ষের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে উত্তর জানা সত্ত্বেও উত্তরপত্রে পূর্ণ লিখতে ব্যর্থ হয়। এদিকে পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে প্রায় ৩০ মিনিট পর কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদেরকে মোমবাতি সরবরাহ করেন।

পরীক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যুৎহীন অব্যবস্থাপনা পরিবেশের কারণে সময় নষ্ট হওয়ায় তারা প্রত্যবেক্ষক ও কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে মানবিক কারণ উল্লেখ করে ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেই সুযোগ না দিয়ে যথাসময়ে তথা দুপুর ১টায় উত্তরপত্র নিয়ে নেন। 

এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব আব্দুল হান্নান সজল জানান,অভিযোগটি সঠিক নয়,তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে দুটি ছাপড়া ঘর রয়েছে।জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই।পরীক্ষা চলাকালে ২০ মিনিট বিদ্যুৎ ছিল না।তখন পরীক্ষার্থীদের মোমবাতি সরবরাহ করা হয়েছে।  

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ জানান,বৈশাখী ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে অন্যান্য কেন্দ্রেও বিদ্যুতের কিছুটা সমস্যা হয়েছিল, জানতে পেরে দ্রুত সমাধান করা হয়েছে। ওই কেন্দ্র থেকে তখন আমাকে জানানো হলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করতাম। যেহেতু বৈশাখ মাস, বৃষ্টির সময়, তাই পরবর্তী পরীক্ষাগুলো চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে জেনারেটর রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

রাজু

×