
ছবি: জনকণ্ঠ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ডিসি রোড কারখানা নদীর খেয়া ঘাটে নেই সরকার নির্ধারিত কোন ভাড়া তালিকা। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নদী পারাপারের জন্য খেয়া নৌকায় অতিরিক্ত ভাড়া টাকা আদায় করে আসছে ইজারাদার। আর রাত হলেই চিত্র আরও ভয়াবহ হয়ে উঠে। জরুরি কাজে পারাপার কিংবা অসুস্থ রোগী নিয়ে নদীর এপার থেকে ওপারে পৌঁছাতে হলে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। আর এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে খেয়াঘাট ইজারাদারদের ণৈরাজ্য।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, গত মার্চ মাসের ২৪ তারিখ বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে আগামি এক বছরের জন্য ডিসি রোড খেয়া ঘাট লিজ দেয় উপজেলা প্রশাসন। ৫০ লাখ টাকায় ইজারা নেয় ফরিদপুর ইউনিয়নের সজিব মোল্লা। তিনি খেয়াঘাট লিজ নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় খেয়া ঘাটের নৈরাজ্য। উপজেলার ডিসি রোড খেয়া ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ফরিদপুর, দুর্গাপাশা ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলের কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এই খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হয়। তবে এই খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপারে সরকার নির্ধারিত কোন ভাড়া তালিকা টানায়নি ইজারাদার। ফলে ইচ্ছেমত খেয়া যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। জন প্রতি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ২০ টাকা। আর মোটরসাইকেল পারাপারে ২৫ টাকা ভাড়ার পরিবর্তে আদায় করা হয় ৪০ টাকা। আর রাত হলেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। অসুস্থ রোগী কিংবা জরুরী প্রয়োজনে পারাপার হতে হলে গুনতে হয় ১শ’ থেকে ২শ টাকা। আর চড়া মূল্য আদায়ে প্রতিবাদ কিংবা দর কষাকষি করলেই হতে হয় লাঞ্চনার শিকার।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, মানুষের সেবা নয়, খেয়া পারপারের নামে এসব ঘাটে চলছে নিরব চাঁদাবাজী। ডিসি রোড খেয়া ঘাটের এই চিত্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, ওই এলাকায় বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই খেয়াঘাটে ভাড়ার নামে চাঁদা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ বিষয়ে খেয়া ঘাট ইজারাদার সজিব মোল্লার কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ জানান, ডিসি রোড খেয়া ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আমার কাছে এর আগেও আসছে। খুব শীঘ্রই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
শিহাব