ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

বরিশাল সিটির ভোটে বৈধ মেয়র দাবি করে মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল।

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ১৭ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৯:১৬, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

বরিশাল সিটির ভোটে বৈধ মেয়র দাবি করে মামলা দায়ের

ছবিঃ সংগৃহীত

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত হাতপাখা মার্কার প্রার্থী দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণা করার দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেছেন সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। মামলায় নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহসহ প্রতিদ্বন্দ্বী ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।  ওই নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে হাতপাখা মার্কার প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন।

বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাছিবুল হাসান মামলায় আজ কোন আদেশ দেননি।

ট্রাইব্যুনালে সরাসরি নিজে উপস্থিত হয়ে ভোট কারচুপি, সহিংসতা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলাটি দায়ের করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও তৎকালীন হাতপাখা মার্কার মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম (শায়খে চরমোনাই)।

দায়ের করা মামলায় তিনি দাবি করেন, ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করে ভোটারদের বিপুল সমর্থন পেলেও ভয়ভীতি, হামলা, প্রভাব বিস্তার এবং জালিয়াতির মাধ্যমে ফলাফল বিকৃত করা হয়েছে।


মামলার আবেদনে ফয়জুল করিম উল্লেখ করেন, নির্বাচনের দিন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনে যাওয়ার পর তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় তিনি গুরুত্বর আহত হন। ঘটনাটি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে জানানো হলেও তিনি কোনো আইনি সহায়তা পাননি।


অভিযোগে আরও বলা হয়, জাগুয়া কলেজ কেন্দ্র থেকে হাতপাখার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার সময় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। একইসাথে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা বাহিরের জেলা ও উপজেলা থেকে অস্ত্রধারী লোকজন এনে সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভোটারদের ভোটদানে বাঁধা প্রদান করেন।


ফয়জুল করিম মামলায় দাবি করেন, প্রকৃত ফলাফলে তিনি ব্যাপক ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে তাকে ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোটে পরাজিত এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোটে বিজয়ী দেখানো হয়।


তিনি (ফয়জুল করিম) বলেন, ভোট কারচুপি, সহিংসতা ও প্রশাসনিক প্রভাবের কারণে ওই নির্বাচন মৌলিকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে আমার বিজয় নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হবে। এজন্য তিনি সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ অনুযায়ী ১নং প্রতিপক্ষের প্রার্থীতা বাতিল করে তাকে (ফয়জুল করিম) বরিশাল সিটি করপোরেশনের বৈধ মেয়র ঘোষণার জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করেন। 

মুফতি ফয়জুল করিম আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আইন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেলে বরিশালবাসী প্রকৃতপক্ষে একজন জনতার মেয়রকে পাবেন। যে জনগণের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকবে। 
 

রিফাত

×