ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে আবদ্ধ? প্রশ্ন বাকৃবি ছাত্রদল আহ্বায়কের

বাকৃবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ১৭ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৭:৩৬, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে আবদ্ধ? প্রশ্ন বাকৃবি ছাত্রদল আহ্বায়কের

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কঠোর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, “ছাত্রলীগের হামলার তদন্তে গঠিত কমিটির অগ্রগতি এত ধীর কেন? প্রশাসনের ভূমিকা এত নীরব কেন? বিচার কার্য বিলম্বের মাধ্যমে কি তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে? নাকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে?”

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেট থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বক্তৃতায় আতিকুর রহমান এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা একটি মাত্র দাবিতে এখানে একত্র হয়েছি—ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের বিচার চাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্ঞানের জায়গা, মানবিকতা শেখার জায়গা, অথচ ছাত্রলীগ একে ভয় আর নির্যাতনের কেন্দ্রে পরিণত করেছে। বছরের পর বছর সাধারণ শিক্ষার্থী, ভিন্নমতের ছাত্র ও আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর চালিয়েছে নৃশংস নির্যাতন।”

আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, “আমাদের দাবি স্পষ্ট—হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যারা শিক্ষার নামে সন্ত্রাস চালিয়েছে, তাদের জন্য এই ক্যাম্পাসে কোনো জায়গা নেই। আমরা মেধাবী ছাত্র সাদের হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারও দাবি করছি।”

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম শোয়াইব, সদস্য মিজানুর রহমান স্বপ্নীল, ইসমাইল হোসেন হৃদয়সহ বিভিন্ন হলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের ওপর দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পান এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান এবং সদস্য সচিব হন কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার। মোট ২৬ সদস্যের এই কমিটি গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে সরেজমিনে এবং ১০ অক্টোবর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ শুরু করে এবং ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়া চলে। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য প্রকাশ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রদল নেতারা।
 

মারিয়া

×