
ছবি: জনকণ্ঠ
বরগুনার তালতলীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঝাড়ু মিছিল করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তারা ঝাড়ু মিছিল করে কাজ বন্ধ করে দেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তালতলী উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের মালিপাড়া থেকে নয়াপাড়া পর্যন্ত ১১০০ মিটার সড়ক নির্মাণে দরপত্র আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর,নির্বাহী প্রকৌশলী। দরপত্রে অংশগ্রহন করে কাজটি পেয়েছে মেসার্স এনামুল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠানকে ওই কাজের কার্যাদেশ ওই রাস্তার কাজে ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ২১ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
জানা গেছে, মালিপাড়া থেকে নয়াপাড়া সড়কের নির্মাণকাজ এলজিইডি'র আওতায় চলছিলো। এ কাজের তদারকি’র দায়িত্ব উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীর। তবে সড়ক নির্মাণ কাজটিতে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে কাজ করেছিলো।
এসময় স্থানীয় বাসিন্দারা কাজে অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা নিম্মমানের কাজ বন্ধের দাবীতে ঝাড়ু মিছিল দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
নাম না প্রকাশে ঠিকাদার ও স্থানীয়রা বলেন, এই ইঞ্জিনিয়ার বিভিন্ন সময় অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছে। কিছুদিন আগে বটতলা এলাকায় সিসি ঢালাইয়ের কাজ অনিয়ম হওয়ার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হয়েছে। এই ইঞ্জিনিয়ার ঠিকাদারদের সাথে আঁতাত করে এই রাস্তা এবং সড়কের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। যার কারণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার সাহস পায় ঠিকাদাররা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কাওসার হামিদ, রাসেল মৃধা, আলমাস খলিফা, জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, 'সড়কে একদম নিম্ন মানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ করতে ছিলো। ব্যবহারিত ইট হাত দিয়েই ভাঙা যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তাঁরা আরও বলেন, 'ওই প্রকৌশলীকে ‘ম্যানেজ’ করে ঠিকাদার দায়সারাভাবে রাস্তার কাজ করতেছিলো।'
এ বিষয়ে জানতে মেসার্স এনামুল এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী এনামুলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'সামান্য কিছু ইট খারাপ ছিলো। সেগুলো বাছাই করে আলাদা রাখা হয়েছে এবং সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা আমার কাছে অভিযোগ করছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করায় প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ইটের গুণগত মান যাচাই করতে বলা হয়েছে। মানসম্মত ইট না হলে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে এবং নতুন করে মানসম্মত ইট দিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শহীদ