
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
কলাপাড়া পৌরএলাকা এখন অবৈধ যানের শহরে পরিণত হয়েছে। এসব যানের চাপে শহরবাসীর বেহাল দশা। শহরের ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বেশি যানবাহনের চাপে পৌরবাসীর অসহনীয় ভোগান্তি হচ্ছে। অটোবাইক, মিশুক ও অটোরিকশার পাশাপাশি অবৈধ কৃষি যান ট্রলি,হামজা এই শহরের মানুষকে জিম্মদশায় ফেলেছে। যানজটের পাশাপাশি অসহনীয় শব্দদূষণের শিকার হচ্ছে মানুষ। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের কাছে শহরটির সড়কগুলোতে চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।
ইতঃপূর্বে শহরে দিনের বেলা মালবাহী ট্রাক প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন সব চলে ফ্রি স্টাইলে। এছাড়া শহরের ব্যস্ততম সড়কের দুইপাশ দখল করে শত শত মোটরসাইকেল সবসময় পার্কিং করে রাখা হয়। ফুটপাত দখল করে ব্যবসায়ীরা দোকানের মালামাল রাখছেন। এক কথায় শহরটিতে চলছে বিশৃঙ্খল অবস্থা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই শহরে সড়কে চলাচলে যানবাহনের কিংবা চালকের কোন ধরনের লাইসেন্স লাগে না। সব চলে ফ্রি স্টাইলে।
কলাপাড়া পৌরসভার কর নির্ধারক রফিকুল ইসলামের দেওয়া তথ্যানুসারে শহরটিতে লাইসেন্সধারী প্রায় এক হাজার অটোবাইক, মিশুক ও অটোরিকশা রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ২৭৫টি মিশুক, ২১৬ টি অটেবাইক ও অর্ধশতাধিক অটোরিকশার লাইসেন্স নবায়ন রয়েছে। অথচ বাস্তবে শহরটিতে দুই হাজারের বেশি এসব যান চলাচল করছে। এছাড়া ট্রাক, ট্রলি, ভ্যান, টমটম, মাহেন্দ্র তো আছেই। বর্তমানে অবৈধ যানবাহনের চাপে শহরটিতে চলাচল ভোগান্তি চরমে রয়েছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় অবৈধ এ যানবাহন চলাচল বন্ধ হচ্ছে না। পৌরসভার নাগরিকরা নাগরিক সেবা নিশ্চিতে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমরা কলাপাড়া বাসীর সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করা এবং বৈধ যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারলে শহরবাসীর ভোগান্তি কমবে না। এজন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষের আন্তরিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
কলাপাড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা কাব্যলাল চক্রবর্তী জানান, কলাপাড়া পৌরশহরের অবৈধ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মেজবাহউদ্দিন মাননু / ফারুক