
ছবি : সংগৃহীত
ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা একটি প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে আদালত গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালতে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতে দাবি করেন, মেঘনা ও তার সহযোগীরা একটি সুপরিকল্পিত চক্র গঠন করে বিদেশি কূটনীতিকদের হানিট্র্যাপের ফাঁদে ফেলতেন।
তাদের অভিযোগ অনুযায়ী, এই চক্রের সর্বশেষ শিকার হয়েছিলেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা, যার কাছ থেকে তারা ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫৮ কোটি টাকা) দাবি করেছিল বলে জানানো হয়। আদালতে মেঘনা আলমের নাম ভুলভাবে 'মেঘলা আলম' বলা হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নাম সংশোধন করে নেন। নিজের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেঘনা দাবি করেন, তিনি সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসার বৈধ স্ত্রী।
আদালতে তিনি বলেন, "আমাকে বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছে এবং আইনজীবী নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।" তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রদূত ইসা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন যে তিনি তাদের সন্তান নষ্ট করেছেন। মেঘনার দাবি, "পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরই আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
এর আগে গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের রিমান্ডে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশের অভিযোগ, তিনি একটি সুসংগঠিত চক্রের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিকদের টার্গেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন। তবে মেঘনা এসব অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছেন।
আদালতে মেঘনার পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগের দাবি উঠেছে, অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ তাদের অভিযোগে অনড় রয়েছে। মামলাটির পরবর্তী শুনানিতে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হবে বলে জানা গেছে। এই মামলার প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক মহলে উত্তপ্ত আলোচনা শুরু হয়েছে, বিশেষ করে সৌদি দূতাবাসের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে।
আঁখি