
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বার্ষিক তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। টাইম ম্যাগাজিনের এই স্বীকৃতিতে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন।
টাইম ম্যাগাজিন তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, ড.ইউনূসকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কেবল তার অতীত সামাজিক অবদানের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন ও নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষায় তার বর্তমান ভূমিকার জন্য। দেশের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার আহ্বানে তিনি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি অর্থনৈতিক পুনর্গঠন, রাজনৈতিক সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বেশ কিছু কূটনৈতিক সাফল্যও অর্জন করেছে। তার প্রচেষ্টায় জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করে রোহিঙ্গা সংকট পর্যালোচনা করেন এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আগ্রহ দেখিয়েছে। এছাড়া চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়ন, মার্কিন বাণিজ্য নীতির প্রভাব মোকাবেলা এবং ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতেও তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
হিলারি ক্লিন্টন তার শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, "ড. ইউনূস কয়েক দশক আগে ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। এখন তিনি দেশের কঠিন সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে মানবাধিকার রক্ষা ও একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে কাজ করছেন।"
টাইমের এই তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঠিক পরেই স্থান পেয়েছেন ড. ইউনূস। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবের মুহূর্ত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। তার এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার সংগ্রামকে বিশ্বদরবারে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা যায়।
আঁখি