
কলাপাড়ায় বাড়িতে ছাগল ঢোকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষে তিন নারীসহ চারজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় উপজেলা টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের হাওলাদার মার্কেটের সামনে প্রথম দফা সংঘর্ষ ঘটে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। হাসপাতালের মধ্যে এ নিয়ে বুধবার দ্বিতীয় দফা মারধরে লিপ্ত হয়।
আহতরা হলেন- আলো বেগম (৪০), আঁখি (২০), আব্বাস (৫০), ফাতেমা বেগম (৪১)। এদের মধ্যে আলো বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহত আলো বেগমের মেয়ে আঁখি চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আমাদের ছাগল আব্বাসের বাড়িতে ঢুকে পড়লে ছাগলটিকে লাঠি দিয়ে পিটানো হয়। এতে ছাগলটির বিভিন্ন স্থানে জখম ও পা ফুলে ওঠে। এক পর্যায়ে বেধে রাখা হয়। রাতে ছাগলটিকে আনতে গিয়ে ছাগলটিকে মারার বিষয়ে আব্বাসকে জিজ্ঞেস করলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আব্বাস তার স্ত্রী ফাতেমা, ছেলে সজীব আমার মাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আমাকেও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতাল ভর্তি করান।
আমার ভাই সানি, বোন সাবিনা ঢাকা থেকে আজ বুধবার সকালে আমাদের দেখতে হাসপাতালে আসলে আব্বাসের ছেলে সজীব ও রাজিব দ্বিতীয় দফায় আমাদের মারধর করে।
আহত আব্বাস হাওলাদার বলেন, গতকাল রাতে আলো ও তার মেয়েকে নিয়ে ছাগলটি নিতে আসলে আমার স্ত্রী ফাতেমা বলেন ছাগলটি রাতে নেওয়ার দরকার নাই, সকালে নিয়ে যাবেন। এতে তারা রাজি না হয়ে সে আমাদের গালাগাল করে। ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রী ফাতেমাকে মারধর করে। আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আমাকেও মারধর করা হয়। আমার অণ্ডকোশ চেপে ধরে। তখন আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আজ বুধবার সকালে হাসপাতালের নার্সের কাছ থেকে আমার ছেলে সজিব বিছানার চাদর ও বালিশ আনতে যায়। আলো বেগমের ছেলে সানি মেয়ে সাবিনা, আঁখি মিলে আমার ছেলেকে হাসপাতালে বসে মারতে থাকে। ডাক চিৎকারের শব্দ শুনে আমার ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আমাকেও মারতে থাকে। এক পর্যায় হাসপাতালের মেঝেতে ফেলে কিল ঘুসি লাথি মারে।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে আমি হোন্ডা যোগে বালিয়াতলী থেকে ইট বাড়িয়াতে শানু হাওলাদার দোকানের সামনে আসলে দেখি অনেক মানুষের জটলা। শুনি এখানে আলো বেগম ও আব্বাসের সাথে মারামারি হয়েছে। রাস্তার উপর আলো বেগম পরে রয়েছে। শানু হাওলাদার আমাকে বলে ওদেরকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাও। আমি তাদেরকে নিয়ে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করি। আজ সকালে হাসপাতালে মধ্যে আব্বাস ও আলো বেগমের মারামারি আবার ঘটনা ঘটে। আমি উভয়পক্ষের লোকদের সরিয়ে দেই। পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করি।
কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনঅনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সজিব