
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ভোগাই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং ২০টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযানে ১৮টি বাঁশের মাচাসহ বালু উত্তোলনের অন্যান্য সরঞ্জামও জব্দ ও অপসারণ করা হয়।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিনব্যাপী উপজেলার গোবিন্দনগর, ছয়আনী পাড়া, রাবারড্যাম, চার আনীপাড়া, বালুয়াকান্দা বাজার ও শিমুলতলা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ববি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিসুর রহমান।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত মো. সাজিত (২৬), ময়মনসিংহ জেলার চুরখাই এলাকার বাসিন্দা এবং সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন করছিলেন।
সূত্র জানায়, বাংলা ১৪৩১ সনে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর চলতি ১৪৩২ সনে নতুন কোনো ইজারা দেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি ও প্রচারণা চালানো হলেও কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছিল। এই প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালিত হয়।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি জানান, "বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধিত) আইন ২০২৩ অনুযায়ী এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি সনে কোনো ইজারা না থাকায় ভোগাই ও চেল্লাখালী নদী থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।"
অভিযানে অংশ নেয় নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার, ছাত্র স্বেচ্ছাসেবক দল এবং স্থানীয় জনসাধারণ। নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সচেতনতামূলক ব্যানারও টানানো হয়।
এসএফ