ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

শিশু সুমাইয়া ধর্ষণ ও হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ১৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ২১:৩৫, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

শিশু সুমাইয়া ধর্ষণ ও হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

ছবি: জনকণ্ঠ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় শিশু সুমাইয়া ধর্ষণ ও হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছে ছাত্রদল দর্শনা কলেজ শাখা।

বুধবার বেলা ১১টায় দর্শনা প্রেসক্লাবের সমানে শিশু সুমাইয়া ধর্ষন ও হত্যাকারীর ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। নেতৃত্ব দেন দর্শনা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সুমাইয়ার মা বলেন, আমার মেয়ে সুমাইয়াকে নির্মমভাবে নিযার্তন ও ধর্ষণ করে হত্যা করেছে সে কারনে আমি চাই ধর্ষণকারী মোমিনুলের ফাঁসি হোক। যদি মোমিনুলের ফাঁসি না হয়, তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো। তিনি ড.ইউনুস ও তারেক রহমানের কাছে দাবী করে বলেন, আগে সুমাইয়ার বিচার হবে। তারপর আছিয়ার বিচার হবে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আমাকে ডেকে বলেন, শোন মেয়ে মোমিনুলের ৫ বছর জেল হাজতে আছে, আর ৪ বছর জেল হতে পারে। আমি বলেছি, এ বিচার মানি না। তার ফাঁসি হতে হবে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন দর্শনা সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সাফায়েত জামাল পাপ্পু, রকিবুল হাসান রিফাত, জুবায়ের হাসান ও নাফিজ উদ্দিন, জেলা ছাদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন , সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, থানা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক সরোয়ার হোসেন, রাসেদ আহম্মেদ সজিব ও হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

উলেখ্য, ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারী সকালে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর বাজারের নাসিরুল ইসলামের মেয়ে প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন (৬) স্কুলে যাওয়ার সময় একই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার নুর ইসলামের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (১৭) তাকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর দিনভর খোঁজাখুঁজির পর ওই দিন বেলা আড়াইটার দিকে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের মাঠে শিম বাগানের ভেতর সুমাইয়া খাতুনের মরদেহ পাওয়া যায়। এসময় সুমাইয়ার পরনে কোন বস্ত্র ছিলোনা, তার পরনের প্যান্ট মুখের মধ্যে গোঁজা ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শ্যাম্পু উদ্ধার করে। শ্যাম্পুর সুত্র ধরে গ্রামের দোকানীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর পারকৃষ্ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার নুর ইসলামের ছেলে মোমিনুল ইসলামকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এ সময় পুলিশ তাকে আটক করে মামলার পারে আদালতে সোপর্দ করে। এরপর মোমিনুল ম্যাজিট্রেটের কাছে দেয়া ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে। দীর্ঘ ৫ বছর এ মামলাটি চলমান রয়েছে।

এম.কে.

আরো পড়ুন  

×